হস্তিশাবকের পচাগলা একটি দেহ উদ্ধার হল ডুয়ার্সের জঙ্গলে। রবিবার সকালে জলপাইগুড়ি বন বিভাগের খুট্টিমারি বনাঞ্চলের একটি নালার ধার থেকে ওই দেহটি উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে বন দফতরের অনুমান, অন্তত দিন পাঁচেক আগে হাতির শাবকটির মৃত্যু হয়েছে। এলাকায় নজরদারিতে থাকা বনকর্মীরা জানান, ২০-২৫টি হাতির দলের সঙ্গে মাসখানেক ধরে একটি শাবককে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যাচ্ছিল। সম্ভবত অসুস্থ থাকায় হাতিটি হাঁটতে পারছিল না। সে কোন ভাবে ওই নালায় পড়ে যায়। দলের অন্য সদস্যরা তাকে তোলার চেষ্টা করে। সেই সময়ে ওপরে তোলার পরে হাতির শাবকটি ফের কোন ভাবে নালার ধারে কেটে রাখা ছুঁচলো গাছের গুঁড়িতে পড়ে গিয়ে জখম হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। |
হস্তিশাবকের দেহ। ছবি: রাজকুমার মোদক। |
জলপাইগুড়ির ডিএফও বিদ্যুৎ সরকার বলেন, “একটি অসুস্থ হাতির শাবক যে বেশ কিছু দিন ধরে দেখা যাচ্ছিল তা বনকর্মীরা জানিয়েছিলেন। কিন্তু, হাতির পালের মধ্যে থেকে শাবককে বিচ্ছিন্ন করে চিকিৎসা করানো মুশকিল। তাই নজর রাখা হচ্ছিল। মনে হচ্ছে বাচ্চাটি নালায় পড়ে গিয়েছিল। সেটিকে তুলতে গিয়েই গুঁড়ির ছুঁচলো অংশ পেটের নরম অংশে ঢুকে জখম হয়। একেই অসুস্থ ছিল, তার উপরে আঘাত পেয়ে শাবকটি মারা গিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।”
এই ঘটনার পরে ওই জঙ্গলে কাঠ চোরদের দৌরাত্ম্য বাড়ার বিষয়টিও ফের সামনে এসেছে বলে মনে করছেন পরিবেশপ্রেমীরা। হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের (ন্যাফ) মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “হাতির বাচ্চাটি অসুস্থ ছিল শুনেছি। তবে গভীর জঙ্গলে নালার ধারে পর পর গাছ কেটে রাখার ঘটনা উদ্বেগজনক। জঙ্গলে নজরদারি আরও বাড়ানো দরকার।” |