টাকিন, তুষার চিতার পরে এইবার অরুণাচল প্রদেশে লাল পান্ডা থাকার পোক্ত প্রমাণ মিলল। লুকোনো ক্যামেরায় ধরা দিল লাল পান্ডার চাঁদপানা মুখ।
বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম প্রধান র্তীথক্ষেত্র তাওয়াং -সহ অরুণাচল প্রদেশ আপাতত পশুপ্রেমীদের কাছে অনাবিষ্কৃত স্বর্ণখনি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অরুণাচলের অধিকাংশ অরণ্যেই মানুষের পা পড়েনি। হয়নি কোনও সমীক্ষাও। বিশেষজ্ঞদের মতে, অরুণাচলের কুমারী অরণ্য’র প্রায় ২৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় লাল পান্ডার আদর্শ চারণভূমি। জেমিথাং ও থেম্বাং -এ সন্ধান চলছিল লাল পান্ডার। লাল পান্ডা সংরক্ষণের জন্য, স্থানীয় গ্রামবাসীদের নিয়ে তাওয়াং ও পশ্চিম কামেং জেলা মিলিয়ে গড়া হয়েছে, পাঞ্চেন লাম্পো মুচাট সংরক্ষণ কেন্দ্র। কিন্তু, এই ধরনের পার্বত্য অরণ্যে বিশেষজ্ঞদের এনে প্রতিদিন ক্যামেরায় নজর রাখা সম্ভব নয়। তাই ডব্লিউডব্লিউএফ স্থানীয় উৎসাহী যুবকদেরই ক্যামেরা রক্ষণাবেক্ষণের কাজে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। |
পাতার আড়ালে। ছবি : ডব্লিউডব্লিউএফ -এর সৌজন্যে। |
ডব্লিউডব্লিউএফ সূত্রে খবর, জেমিথাং -এর এক পাহাড়ে বসানো ক্যামেরাতেই পান্ডার ছবি উঠেছে। দু’টি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল ওই এলাকায়। একটি ক্যামেরায় পান্ডার ছবি ছাড়াও চমরি গাই, নানা ধরণের পাখি, হরিণের ছবি ধরা পড়েছে। অন্যটিতে, প্রায় বিপন্ন তালিকাভুক্ত গরাল ও সেরো (ছাগলসদৃশ প্রাণী ) এবং বিপন্ন অরুণাচলি ম্যাকাকের ছবি উঠেছে। লাল পান্ডা নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, দক্ষিণ চিন ও ভারতে মেলে। এর আগে, ২০০৯ সালে, ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার অভিযানে, তিব্বত ও মায়ানমার সীমান্তে, বিরল মিশমি টাকিন ছাড়াও, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, ‘বার্কিং ডিয়ার’, হিমালয়ান কালো ভল্লুক, ‘হুরে -বেলিড’ হিমালয়ান কাঠবিড়ালি, বিরাট মালয় কাঠবিড়ালি, চিতাবাঘ, জংলি বিড়াল এবং তিন রকম ইঁদুরের সন্ধান মিলেছিল। দুই বছর আগে, বাঘ, চিতাবাঘ ও পান্ডার সন্ধানে ডব্লিউডব্লিউএফ তাওয়াং জেলার মাগো ও থেম্বাং -এ বাঘ, তুষার চিতাবাঘ ও চিতাবাঘের সন্ধানে সমীক্ষা শুরু করে। তুষার চিতার গতিবিধি নজরবন্দী করার জন্য মাগো উপত্যকার পাহাড় জুড়ে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সেখানেই, গত বছর সেপ্টেম্বরে, ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায়, তুষার চিতার পায়ের ছাপ ও শিকার করা নীল ভেড়া দেখতে পাওয়া যায়। মেলে বিষ্ঠা। ডিসেম্বর মাসে, দিবাং -এর আনিনিতে মৃত বাঘিনী ও তিন জীবন্ত শাবকের দেখা মিলেছে। দুই শাবক আপাতত রোয়িং চিড়িয়াখানায় রয়েছে। |