টুকরো খবর
সাঙ্গাই হরিণ সংখ্যায় বাড়ছে
দ্বিতীয় আবাসেও পরিবারের সংখ্যা বাড়াচ্ছে সাঙ্গাই হরিণ। মণিপুরের গর্ব তথা বিশ্বের বিরলতম হরিণ প্রজাতির সদস্য, ব্রো -অ্যান্টলার্ড ডিয়ার বা সাঙ্গাই হরিণের একমাত্র প্রাকৃতিক নিবাস কেইবুল লামজাও জাতীয় উদ্যান। ১৯৫৩ সালে লামজাওয়ের তৃণভূমিতে মাত্র ৬টি হরিণের দেখা মিলেছিল। ২০০০ সালে সরকারি সংরক্ষণ প্রকল্পের ফলে সংখ্যাটি বেড়ে হয় ১৬২। ২০০৩ সালে তা হয় ১৮০। বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ফের সাঙ্গাই শুমারি হওয়ার কথা। তবে গত বছরে কেইবুল লামজাও এলাকায় বা লোকটাক লেকে ফুমদি বা ভাসমান তৃণভূমির সংখ্যা অনেকই কমে গিয়েছে। জঙ্গিদের ঘাঁটি বনে যাওয়া বহু ফুমদি সেনা অভিযানে নষ্ট হয়েছে। তাই সাঙ্গাইয়ের সংখ্যাও কমেছে বলে পশুপ্রেমীদের আশঙ্কা। রাজ্য সরকারের তরফে সাঙ্গাই বাঁচাতে চিড়িয়াখানার কাছেই গড়ে তোলা হয়েছে ‘লাঙ্গোল সাঙ্গাই সেকেন্ড হোম’। গত বছর সেই দ্বিতীয় আবাসে ৫টি সাঙ্গাই শাবক জন্মায়। সম্প্রতি জন্ম হয় আরও দুটি বাচ্চার। শীঘ্রই এই হরিণ পরিবারের সদস্য সংখ্যা জনা কুড়িতে দাঁড়াবে।

পাহারায় বনকর্মীরা
এক সঙ্গে অনেকগুলো ময়াল দেখা যাচ্ছে-খবরটা ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। শুক্রবার সকাল থেকেই তাই ময়াল দেখতে ঝাড়খন্ড ঘেঁষা রাজনগরের কুড়ুলমেটিয়া জঙ্গলে ভেঙে পড়েছিলেন আশপাশের গ্রামের কয়েকশো মানুষ। কিন্তু টিলার ফাটলের ফাঁকে ময়ালের সামান্য দেহ দেখে তাঁদের মন ভরেনি। তার উপর ওই ফাটলে ক’টা ময়াল রয়েছে, তাও স্পষ্ট নয়। তাই স্থানীয়দের কয়েকজন টিলার ফাটল লক্ষ করে পাথর ছোড়েন। অতি উৎসাহে কেউ কেউ ফাটলের মধ্যে লাঠি দিয়ে ময়ালদের বের করার জন্য নাগাড়ে চেষ্টা চালিয়ে যান। অনেকে আবার ফাটলের আশপাশের ঝোপে আগুনও লাগিয়ে দেন। ময়ালদের উপর এই অত্যাচারের খবর পেয়ে ছুটে যান বনকর্মীরা। কৌতূহলীদের হাত থেকে ময়াল -পরিবারকে রক্ষা করতে বনকর্মীদের পাহারা বসে। শনিবার তা সত্ত্বেও ভিড় বাড়ে। রবিবার দিনের আলো ফুটতেই বাসিন্দারা গিয়ে দেখেন ফাটল ফাঁকা করে ময়ালরা অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছে। তাঁরা নিরাশ হয়ে ফিরে যান। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বনকর্মীরা। রাজনগরের রেঞ্জ আধিকারিক রামরঞ্জন রায় বলেন, “ওই ফাটলে তিনটি ময়াল ছিল। বনকর্মীরা বাসিন্দাদের বোঝানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। মনে হয় শনিবার রাতের মধ্যেই সাপগুলি কোথাও সরে গিয়েছে।”

প্রকৃতি পাঠ
আপদকালীন পরিস্থিতিতে নদী পারাপারে প্রশিক্ষণ।
রবিবার কুলিকে তরুণ দেবনাথের তোলা ছবি।
পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় গাছ-পালা, পশু-পাখি ও জীব-জন্তু সংরক্ষণের প্রয়োজন নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ শুরু করল রায়গঞ্জের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ার্স ট্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু হল প্রকৃতি পাঠ শিবির। স্থানীয় কুলিক পক্ষিনিবাস চত্বরে আয়োজিত ওই শিবিরে উত্তর দিনাজপুরের ১৫টি স্কুলের ৮ থেকে ১৫ বছর বয়সী ১১০ পড়ুয়া যোগ দিয়েছে। চলবে সোমবার পর্যন্ত। এ দিন প্রায় ৩০ ফুট চওড়া নদী খালের দুপারের গাছে শক্ত দড়ি বেঁধে পড়ুয়াদের আপদকালীন পরিস্থিতিতে নদী পারাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ১০ ফুট অন্তর গাছে প্রায় চার ফুট উচ্চতায় সমান্তরাল ভাবে দুটি দড়ি বেঁধে সেই দড়ির ওপর দিয়ে পড়ুয়াদের হাঁটা শেখানো হয়। রাতে পড়ুয়ারা তাঁবুতে থাকবে। সেখানে টেলিস্কোপ ও লেসার টচের্র মহাকাশের নানা গ্রহ, নক্ষত্র সম্পর্কে সচেতন করা হয়। এ দিন শিবিরে রায়গঞ্জের পালপাড়া ও উকিল পাড়ার বাসিন্দা দ্বিতীয় ও সপ্তম শ্রেণির রূপসা পাল, সুলগ্না সরকার জানায়, প্রকৃতি পাঠ শিবির থেকে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হতে এসেছে তারা।

হাতির হানা, জখম বনকর্মীর মৃত্যু হল
হাতির হানায় প্রাণ হারালেন এক বন কর্মী। বন দফতর সূত্রের খবর, মৃত বনকর্মী সুফল মাঝি (৫৬) জলপাইগুড়ি বন বিভাগের চালসা রেঞ্জের পানঝোরা বিটের বনকর্মী ছিলেন। রবিবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে চাপড়ামারি এক নম্বর কম্পার্টমেন্টের জঙ্গলে। সহকর্মীদের সঙ্গে জঙ্গলে টহল দেওয়ার সময় তিনি আচমকাই একটি দাঁতালের মুখোমুখি পড়ে যান। হাতির পায়ের আঘাতে তিনি গুরুতর ভাবে আহত হন। শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়।

পাখি উদ্ধার
উদ্ধার হওয়া পাখি। নিজস্ব চিত্র।
মাছ শিকার করতে পুকুরে নেমে হাবুডুবু খাচ্ছিল একটি পাখি। প্রায় চার ফুট উচ্চতার সেই অসুস্থ পাখিকে উদ্ধার করে বন দফতরের হাতে তুলে দিলেন গ্রামবাসীরা। শনিবার রাতে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার কাশীচটা গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় ইসলামিয়া ক্লাবের সদস্যেরা বন দফতরে খবর দেন। রাতেই গ্রামবাসীদের চেষ্টায় বন কর্মীরা পাখিটিকে উদ্ধার করেন। চিকিৎসার পর পাখিটিকে স্থানীয় জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

শেয়ালের হানায়
চার সপ্তাহের শিশুর হাতের আঙুল কামড়ে ছিঁড়ে নিল শেয়াল। খাট থেকে শিশুটিকে টেনে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে শেয়ালটি। শিশুটির মা এসে ছেলেকে উদ্ধার করেন। গত বুধবার লন্ডনের ব্রমলে এলাকার ঘটনা। চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে শিশুটির আঙুল জোড়া লাগিয়েছেন। শিশুটির মা জানান, শিশুটি একটি ঘরে খাটে শুয়েছিল। পাশের ঘরেই ছিলেন তিনি। হঠাৎ চিৎকার শুনে পাশের ঘরে এসে দেখেন তাঁর ছেলেকে মেঝেতে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে একটি শেয়াল। শিশুর একটি হাত শেয়ালটির মুখে। শেয়ালটিকে লাথি মারতে থাকেন। অবশেষে শেয়ালটি পালায়।

হাতির হানায় মৃত্যু
হাতির হানায় প্রাণ হারালেন চালসা রেঞ্জের পানঝোরা বিটের এক বনকর্মী। রবিবার চাপড়ামারির জঙ্গলে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.