|
|
|
|
অশান্ত পাতরাতু |
ভুল বোঝাবুঝি থেকে সংঘর্ষ,পুলিশের গুলিতে জখম ৮ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
দু’ পক্ষের ভুল বোঝাবুঝির জেরে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেধে গেল রাঁচির কাছে দুই গ্রামের মধ্যে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে জখম হলেন আটজন।
ঘটনার সূত্রপাত কাল রাতে চানো থানা এলাকার পাতরাতুতে। রাঁচি (গ্রাম)-এর পুলিশ সুপার অসীমবিক্রান্ত মিঞ্চ জানান, প্রাথমিত তদন্তে প্রকাশ, এক অপহরণকারীর কাছ থেকে বাঁচতে মহম্মদ জিলানি নামে এক বীজ ব্যবসায়ী আশ্রয় নেন এক গ্রামবাসীর ঘরে। সেখান থেকে টেলিফোনে ঘটনাটি জানান মাদারসা গ্রামে নিজের বাড়িতে। ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করতে আসেন তাঁর পরিচিতেরা। কিন্তু তাঁরা ভেবেছিলেন, বালচন্দ্র মাহাতো নামে পাতরাতুর ওই আশ্রয়দাতাই জিলানিকে নিজের বাড়িতে আটকে রেখেছেন। মাদারসার লোকজন বালচন্দ্রকে মারধর করেন, তাঁর বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। আজ সকালে ফের মাদারসা থেকে তিন যুবক আসে পাতরাতুতে। পাতরাতুর লোকজন মাদারসার ওই যুবকদের মারধর করে আটকে রাখে। তাদের উদ্ধার করতে মাদারসার লোকজন পাতরাতু এলে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে গোলমাল বাধে। |
|
জখম বিক্ষোভকারীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। ছবি: মুন্ডা কামডা |
গোলমাল থামাতে প্রথমে চানো থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে যায় পাশ্ববর্তী খেলারি থানার পুলিশও। আটক যুবকদের উদ্ধার করে পুলিশ জিপে তুলে নিলে পাতরাতুর গ্রামবাসীরা পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ওই যুবকদের ছিনিয়ে নেওয়ার তেষ্টা চলে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হঠাতে প্রথমে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে। এতে কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ এরপর সরাসরি গুলি চালালে গুলিতে আহত হন আটজন। আহত একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাঁচির রিমস হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিবাদে পাতরাতুর লোকজন সড়ক অবরোধ করেন। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, লাঠি না চালিয়ে, কাঁদানে গ্যাস না ছুড়ে প্রথমেই কেন গুলি
চালাল পুলিশ?এরপর ঘটনাস্থলে যান রাঁচির পুলিশ সুপার (গ্রাম)। থানার অফিসার ইন চার্জকে সাসপেন্ড
করার জন্য জনতা পুলিশ সুপারের কাছে দাবি জানান। শেষ পর্যন্ত
দুই থানার অফিসার ইনচাজকেই সাসপেন্ড করা হলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
পুলিশ অবশ্য বীজ ব্যবসায়ীর কথা সম্পূর্ণ বিশ্বাস করতে চাইছে না। পুলিশ সুপার বলেন,“লোকটি কেন পাতরাতুর ওই বাসিন্দার নির্দোষ হওয়ার কথা নিজের গ্রামের লোকজনকে জানাননি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোলমালের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হবে।” |
|
|
|
|
|