একটি বাংলা ছবির শ্যুটিংয়ের সময় রবিবার রাতে ঝামেলা বাধল পুরুলিয়া শহরের অদূরে, কেতিকা এলাকায়। ওই এলাকায় রবিবার রাতে তাঁর সাম্প্রতিক ছবির শ্যুটিং করছিলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। ছিলেন ছবির নায়ক- নায়িকা পরমব্রত ও মিমি এবং রুদ্রনীল ও পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ বলেন, “আমরা একটা ছাপাখানায় শ্যুটিং করছিলাম। ছোট জায়গা। বাইরে অনেক লোক জড়ো হয়েছিল। ওই জায়গাটায় পুলিশ ছিল না। ১০-১২ জন যুবক জোর করে ভিতরে ঢুকতে চায়। ইউনিটের লোকজন ভালভাবেই ওদের বারণ করেছিল। কিন্তু ওরা তা না শুনে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের মেক-আপ ভ্যান-সহ গোটা ছয়েক গাড়িতে ভাঙচুর চালায়।” |
পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল থেকে দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে নিয়ে
যাওয়া হচ্ছে আহতদের। রয়েছেন পরমব্রত। ছবি: সুজিত মাহাতো |
তিনি জানান, ইউনিটের লোকজন বাইরে বেরিয়ে হামলাকারীদের ঠেকাতে গেলে হামলার মুখে পড়েন। বাঁশ, লাঠি দিয়ে তাঁদের বেধড়ক পেটানো হয়। সাত জন জখম হন। তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের মাথায় ও ঘাড়ে চোট লেগেছে। আহতদের মধ্যে প্রদীপ চিত্রকর, সৌমাভ হাজরাকে তাঁদের দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিনেতারা অবশ্য অক্ষত রয়েছেন। রাজের অভিযোগ, খোওয়া গিয়েছে শ্যুটিংয়ের কিছু জিনিসপত্রও।
রুদ্রনীল বলেন, “আমরা যাঁদের বিনোদনের জন্য কাজ করি, তাঁদেরই একাংশ এ রকম করলে খুব দুঃখজনক ঘটনা।” রাজেরও বক্তব্য, “পুলিশ না থাকাটা কোনও বিষয় নয়। পুলিশ নিয়ে কেনই বা শ্যুটিং করতে হবে?” পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে গিয়েছি। কী ভাবে ঘটল খোঁজ নিচ্ছি।” |