খনিকর্মী আবাসন থেকে জবরদখল উচ্ছেদ প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার মুখ্য বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির এজলাস থেকে এ কথা ইসিএলকে জানিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রতি মাসে উচ্ছেদ সংক্রান্ত রিপোর্ট হাইকোর্ট জানাতে বলেছে ইসিএল-কে।
আইনজীবী পার্থবাবু জানান, ইসিএল হাইকোর্টে দাখিল করা হলফনামায় জানিয়েছে, কিছু দিন আগে অন্ডালে বাঁকোলা এরিয়ার কুমারডিহি-বি কোলিয়ারি এলাকায় তাদের আধিকারিকেরা অভিযানে গিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পতাকা নিয়ে জবরদখলকারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। আধিকারিকেরা থানায় খবর দিলে পুলিশ পৌঁছয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আপোসে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে পুলিশ ফিরে যায়।
হাইকোর্টের তরফে পুলিশকে প্রয়োজনীয় সহায়তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২৮ জানুয়ারি আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ হাইকোর্টে দাখিল করা হলফনামায় জানিয়েছিলেন, খনি আবাসন থেকে জবরদখল উচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়ে ইসিএলকে সহায়তা করার জন্য প্রতিটি থানাকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইসিএলকে সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছিলাম। হাইকোর্ট যা বলবে তা গুরুত্ব দিয়ে শোনা হবে।”
২০০৯-এর ডিসেম্বরে আইনজীবী পার্থ ঘোষ ইসিএলের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর দাবি, ইসিএলের অধিকাংশ কর্মী আবাসনই বহিরাগতদের দখলে রয়েছে। ফলে আবাসন দিতে না পেরে এক দিকে যেমন অনেক কর্মীকে ভাতা দিতে হচ্ছে, অন্য দিকে বহিরাগতদের দখলে থাকা আবাসনগুলিতে জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতেও কোটি-কোটি টাকা খরচ করছে সংস্থাটি। ইসিএল আদালতকে জানায়, সমাজবিরোধীদের দখলে থাকা কর্মী আবাসন তারা দখলমুক্ত করতে পারছে না। পুলিশকে দখল উচ্ছেদে সাহায্য করার নির্দেশ দেয় কোর্ট।
পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূলের শ্রমিক নেতা নরেন চক্রবর্তীর দাবি, “আবাসনে বসবাসকারীদের অনেকেরই নানা প্রাপ্র্য বাকি রয়েছে। তবে জবরদখল উচ্ছেদের কাজে আমাদের সংগঠনের কেউ বাধা দেননি।” ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান, অভিযান চলছে। বাধা পেলে হাইকোর্টকে জানানো হচ্ছে। |