সম্পত্তির লোভে ভাগ্নেকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, ভাগ্নে রতন বেহেরার নামে থাকা একতলা পাকা বাড়ির দখল নিশ্চিত করতে মামা নবকুমার হালদার তার বছর সাতাশের ভাগ্নের গলার নলি কেটে খুন করে।
জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “সম্পত্তির লোভেই ওই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। ওই ঘটনায় নবকুমারের স্ত্রী ও তার পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত নবকুমার ও তার ছেলে উত্তম পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে।”
বৃহস্পতিবার রাতে বহরমপুরের বহুরুল গ্রামের এই ঘটনা জানাজানি হয় শুক্রবার বিকেলে। বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ প্রতিবেশীরা ভাঙচুর চালান নবকুমারের বাড়িতে। খবর পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বছর পাঁচেক আগে মারা যান রতনের মা। মৃত্যুর আগে রতনের মা তাঁর একতলা পাকা বাড়িটি ভাই নবকুমারকে দিয়ে দেন। তাঁর শর্ত ছিলরতনকে দেখভাল করার দায়িত্ব নবকুমারের। মাস খানেক আগে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতে ভিন রাজ্যে গিয়েছিল রতন। দিন সাতেক আগে বাড়ি ফিরেছেন। সম্পত্তি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মামার সঙ্গে বিবাদ বাধে তাঁর। এরপর থেকে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। এ দিন সকালে প্রতিবেশীরা রতনের খোঁজ করলে ওই পরিবার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। সন্দেহ হওয়ায় গ্রামবাসীরা নবকুমারের পরিবারের লোকজনকে চাপাচাপি করতে থাকেন। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁদের জেরায় খুনের কথা কবুল করে নবকুমারের স্ত্রী। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী যথেচ্ছ ভাঙচুর চালায় হালদার বাড়িতে। ঘরের আসবাবপত্র আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন। খবর দেওয়া হয় বহরমপুর থানায়। প্রতিবেশী গৌরাঙ্গ মণ্ডল বলেন, “টাকা-পয়সা নিয়ে মামা-ভাগ্নের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুনতে পেয়েছিলাম। এরপর থেকে রতনের কোনও খোঁজ পাওয়া যা। এ দিন গ্রামের মানুষের জেরায় রতনকে খুনের কথা স্বীকার করে ওই পরিবার।” |