নিভে গেল বিদ্রোহের আগুন? শনিবার সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থার দিকে বিদ্রোহী টেনিস খেলোয়াড়দের সমঝোতার হাত বাড়ানো দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। মহেশ ভূপতি-রোহন বোপান্নাদের টেনিস জোট এ দিন জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে ডেভিস কাপ টাইয়ে খেলতে প্রস্তুত তাঁরা।
সোমদেবদের দিক থেকে সমঝোতার হাত বাড়ানো দেখে এআইটিএ কর্তারাও আত্মবিশ্বাসী। তবে একটা আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে ডেভিস কাপ টাইয়ের পর ফের জ্বলে উঠবে না তো ভারতীয় টেনিসের রণক্ষেত্র? এআইটিএ-র সঙ্গে সমঝোতার হাত বাড়ানোর দিনই আবার মহেশরা তাঁদের একটি সংস্থা গঠন করে ফেললেন চেন্নাইয়ে। নতুন এই সংস্থা ইন্ডিয়ান টেনিস প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হলেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায় ও সচিব মহেশ ভূপতি। তবে শেষ পর্যন্ত এই সংস্থা এআইটিএ-র স্বীকৃতি পায় কি না, সেটাই দেখার।
|
শনিবার সোমদেব সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থার (এআইটিএ) কর্তাদের যে ই-মেল করেন, তাতে পরিষ্কার বলা রয়েছে, “আমরা শুধু ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে আসন্ন টাই খেলতে রাজি হলাম। আমাদের আরও কিছু দাবির এখনও সুরাহা হয়নি। তাই শুধু এই টাইয়ের ব্যাপারেই নিশ্চয়তা দিতে পারছি।” অর্থাৎ ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে টাই জিতে নিয়ে সোমদেবরা আরও কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে কর্তাদের সঙ্গে বসার পরিকল্পনায় রয়েছেন। কিন্তু সেগুলো মানা না হলে? এআইটিএ-র নির্বাচক কমিটিতে বর্তমান খেলোয়াড়দের রাখার দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন কর্তারা। কিন্তু সেই দাবি যদি আবার ওঠে? তখন তো ফের বেঁকে বসতে পারেন সোমদেবরা। শনিবার সন্ধেয় এআইটিএ-র সিইও হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়কে অবশ্য বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হল, যখন বললেন, “ধরে নিন সমস্যার সমাধান হয়েই গিয়েছে। ওদের বেশির ভাগ দাবিই তো মেনে নিয়েছি আমরা। বাকিগুলো নিয়ে বসে আলোচনা করব নিশ্চয়ই। ওদের বক্তব্য শুনব।” কিন্তু এই জট খোলার জন্য যে কমিটি গঠন করেছিল এআইটিএ, সেই কমিটিকেই তো পাত্তা দিতে চাইছেন না বিদ্রোহীরা। ই-মেলে খেলোয়াড়রা পরিষ্কার জানিয়েও দিয়েছেন সেটা। এমন মন্তব্যের পরেও টেনিস সংস্থা বেশ নরম। হিরণ্ময়বাবু বললেন, “কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মহেশ, রোহন, সোমদেব কথা বলবে না হয়তো। বাকিরা তো বলবে। আর ওদের তিন জনের সঙ্গে না হয় আমিই কথা বলব।” খেলোয়াড়দের নবগঠিত সংস্থাকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে সিইও-র বক্তব্য, “আগে ওরা সরকারি ভাবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করুক। তার পরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।” শুক্রবার হিরন্ময়বাবু সোমদেবকে ই-মেল করে জানিয়ে দেন, এআইটিএ তাঁদের কোন কোন দাবিগুলো মানতে রাজি। তা ছাড়া পরবর্তী টাই তাঁরা কোন সারফেসে খেলতে চান, সেই পরামর্শও চান সোমদেবের কাছে। লিখিত আশ্বাস দেওয়ার এই ই-মেলেই শেষ পর্যন্ত বরফ গলে। সোমদেবরা এটাই চাইছিলেন। তবে টেনিস মহলে খবর, মহেশ ভূপতির এই সিদ্ধান্তে পুরোপুরি সায় নেই। তিনি সব দাবি আদায় করে নিয়ে তবেই কোর্টে নামার পক্ষপাতী ছিলেন। শনিবার যে চিঠি পাঠিয়েছেন বিদ্রোহী খেলোয়াড়রা, তাতে সবার নামও নেই। চিঠির নীচে শুধু লেখা রয়েছে ‘দ্য প্লেয়ার্স’। এর আগে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কিন্তু প্রত্যেকের নাম ছিল। |