ধর্ষণের অভিযোগের পরে রাত না-পেরোতেই এ বার শ্লীলতাহানির অভিযোগ। ঘটনাস্থল সেই রাজারহাট।
শুক্রবার দুপুরে নিউটাউনের বালিগুড়িতে ভবঘুরে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল এক যুবক। আর শনিবার সকালে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল আর এক যুবককে। পুলিশ জানায়, ধৃত শুকুর আলি মোল্লা ওরফে রাজু মোল্লার (৩০) বাড়ি ভাঙড়ে। এ দিনের ঘটনাস্থল অবশ্য রাজারহাট থানার অদূরেই। এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা নিরাপত্তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেও বড় গোলমাল হয়নি।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রাজারহাটের রাজাবাটির বাসিন্দা, ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীটি স্কুলে যাচ্ছিল। স্থানীয় কালীবাড়ির কাছে নির্জন রাস্তায় দাঁড়িয়ে তার কাছে একটি ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে রাজু। কী ভাবে সেখানে যেতে হবে, জানতে চায় সে।
ছাত্রীর অভিযোগ, রাস্তা দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়ে জোর করে রাস্তার ধারের একটি ঝোপে নিয়ে গিয়ে তার শ্লীলতাহানি করে রাজু। কোনও রকমে সেখান থেকে পালায় সে। কিছু দূর দৌড়ে যাওয়ার পরে তার স্কুলের দুই শিক্ষিকাকে দেখে পুরো ঘটনাটিই তাঁদের জানায় সে। ওই ছাত্রী শিক্ষিকাদের আরও জানায়, ঘটনার কথা কাউকে জানালে বিপদের হুমকি দিয়েছে ওই যুবক। এর পরেই শিক্ষিকারা ছাত্রীটিকে নিয়ে স্কুলে পৌঁছন এবং ঘটনাটি প্রধান শিক্ষিকাকে জানানো হয়। স্কুল-কর্তৃপক্ষ ওই কিশোরীর বাবাকে স্কুলে ডেকে পাঠিয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। |
পুলিশ জানায়, বাড়ি ফেরার সময়ে রাজারহাট বাজারের কাছে রাজুকে দেখতে পেয়ে তার বাবাকে দেখায় ওই কিশোরী। তার বাবা স্থানীয় লোকজনকে সব জানালে তাঁরাই রাজুকে ধরে ফেলে মারধর শুরু করেন। পরে রাজারহাট থানার পুলিশ রাজুকে নিয়ে যায়। ওই কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তাকে। এ দিন তিনি বলেন, “স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল মেয়ে। তার পরে ঘটনার খবর পাই। অভিযুক্তের কড়া শাস্তি চাই আমরা।”
শুধু রাজারহাটই নয়, মহানগরেও শুক্রবার রাতে দু’টি শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানায়, দু’টি ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে চার জন। পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ ছেলের মোটরসাইকেলের পিছনে বসে যাচ্ছিলেন কড়েয়া এলাকার এক মহিলা। অভিযোগ, ফার্ন রোডে ঢোকার মুখে একটি বাস থেকে নেমে এক যুবক তাঁর কাঁধে হাত দেয়। প্রতিবাদ করলে দুই সঙ্গী-সহ ওই যুবক তাঁদের দিকে তেড়ে আসে ও মহিলাকে শাসায়। মহিলার চিৎকারে পথচলতি লোকজন জড়ো হন। রাস্তার ধারে গড়িয়াহাট থানার কিয়স্কের পুলিশ ওই তিন যুবককে গড়িয়াহাট থানায় নিয়ে যায় এবং মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃত কার্তিক দাস, ইব্রাহিম সর্দার এবং আবদুল সর্দার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা।
এ দিকে, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আলিপুর থানা এলাকায় রিমাউন্ট রোড এবং আলিপুর রোডের সংযোগস্থলে এক তরুণীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। ওই তরুণী পুলিশকে জানান, রাস্তায় লোক কম থাকার সুযোগ নেয় স্থানীয় এক যুবক। আফরোজ আলম নামে ওই যুবক তার ব্যাগও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। থানায় গিয়ে ওই যুবকের চেহারার বর্ণনা দিলে পুলিশ ওই রাতেই গ্রেফতার করে আফরোজকে। |