নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
ডুয়ার্সে মালবাজারে পরিমল মিত্র স্মৃতি কলেজ ভবনের একাংশে নতুন নির্মাণ কাজ নিয়ে অনিয়ম এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠল। কলেজ কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি না দিয়েই একজন ঠিকাদারকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার ওই কাজ পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
দু’জন ঠিকাদার সঞ্জীব লামা ও মনোজ সোনার এ ব্যাপারে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, গত জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে মালবাজার কলেজ ভবনে ৩ তলার ছাদের উপরে ট্রাস্ট এবং ইটের দেওয়াল দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। কাজ হবে খবর পেয়ে তাঁরা দু’ জন কলেজে যান কিন্তু কোনও বিজ্ঞপ্তি না পাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষার সঙ্গে কথা বলেন। দু’জন দুটি বন্ধ খামে টেন্ডার জমাও দেন। কিন্তু পরে তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের দরপত্র খোলাই হয়নি। তার থেকে বেশি দরে অন্য এক ঠিকাদারকে কাজটি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। নাগরাকাটার বিধায়ক জোসেফ মুন্ডা এবং মালবাজারের মহকুমাশাসকের দফতের অভিযোগও জানান। অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা নন্দিতা সরকার। তিনি বলেন, “৫এপ্রিল থেকে কলেজে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের বসার জন্যে আরও ঘরের প্রয়োজন। দ্রুত কাজ করতে তিন তলার ওপর ট্রাস্ট করে দেওয়াল দিয়ে ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে কারণেই দ্রুত কাজ শেষ করতে বিজ্ঞপ্তি বা টেন্ডার ছাড়াই কাজটি একজনকে দেওয়া হয়।” বিধায়ক জোসেফ মুন্ডা জানান, কেন কলেজের নির্মাণকাজে স্বচ্ছতা থাকবে না তা তিনি বুঝতে পারছেন না। কর্তৃপক্ষ সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারলে বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন মহলে জানাবেন। যাঁরা অভিযোগ করছেন তাদের কাছে টেন্ডার চাওয়াই হয় নি। কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি তপন মিত্র জানান, তিন তলার ছাদের ওপর ঘরটি নির্মিত হবে সে কারণেই এটি নির্মাণের জন্য একজন বাস্তুকার প্রয়োজন ছিল। যাঁকে কাজ দেওয়া হয়েছে তিনি একজন বাস্তুকার। মালবাজার কলেজের যারা উন্নয়ন চান না তাঁরাই এটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছেন।
অভিযোগকারীরা জানান, মোট ৫ হাজার বর্গফুটের ঘর তৈরি করা হয়েছে। খরচ ধরা হয়েছিল ২০ থেকে ২৫লক্ষ টাকা। যিনি কাজটি পেয়েছেন তাঁর দরপত্র ৪৩৫ টাকা প্রতি বর্গ ফুট (রঙ সহ)। অথচ যারা সঞ্জীববাবুদের দর ৩৭৫ টাকা প্রতি বর্গ ফুট। |