দুঃস্থ ছাত্র ছাত্রীদের বেতন কমানোর দাবিতে অশোকনগরের হরিপুর নেতাজি শতবার্ষিকী কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখলেন টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের সদস্যেরা। ঘেরাও চলে দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজ পরিচালন সমিতি দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য ৬৫০ টাকা এবং তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য ৫০০ টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সেই টাকা দিতে অনেকে অক্ষম এই দাবিতেই অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে ছাত্র সংসদ। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক জয়া দত্ত বলেন, “ছাত্র সংসদের মাধ্যমে ৩০০ জন দুঃস্থ পড়ুয়ার বেতন ধাপে ধাপে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু এই ৩০০ জনের মধ্যে এমন ৫০ জন পড়ুয়া রয়েছেন যাদের এক টাকা দেওয়ারও ক্ষমতা নেই। অধ্যক্ষের কাছে আমাদের দাবি, ওই ৫০ জনের ক্ষেত্রে আরও ১০০ টাকা করে কম নেওয়া হোক।” অধ্যক্ষ অবশ্য এই বিষয়টি পরিচালন সমিতির সভাপতির অনুমতি ছাড়া করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন।
তবে সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংসদের দাবি, অধ্যক্ষকে ঘেরাও করা হয়নি। তার সাহায্য পাওয়ার জন্য তাঁরা তাঁর সামনে বাধ্য হয়ে বসেছিলেন। পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক ধীমান রায় জানান, ‘‘পরিচালন সমিতিতে বৈঠক করে দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্য ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ টাকা কমানো হয়েছে। এরপরেও খুব বেশি হলে ১০ জন ছাত্র ছাত্রীর অর্থ মুকুব সম্ভব হবে। তার বেশি কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।” অধ্যক্ষ সুধানাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পরিচালন সমিতির নির্দেশ ছাড়া কখনই বেতন মুকুব সম্ভব নয়।”
তবে ছাত্র সংসদ ও কলেজ পরিচালন সমিতিতে শাসক দলের প্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও এই মতবিরোধ কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ছাত্রছাত্রীরা। |