এ এক অন্য মহাজোট। আরএসপি প্রধানের বিরুদ্ধে এক সঙ্গে অনাস্থা আনল তৃণমূল, সিপিএম ও আরএসপির একাংশ। ঘটনাটি গোসাবার লাহিড়ীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। বুধবার এই পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাহিড়ীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬টি আসনের মধ্যে সিপিএম পায় ৮টি, আরএসপি পায় ৭টি ও তৃণমূল পায় ১টি আসন। প্রধান হন সিপিএমের রাধাপদ মণ্ডল। ৮ মাস আগে, প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা আনে আরএসপি ও তৃণমূল। নতুন প্রধান নির্বাচিত হন আরএসপির শেফালি মণ্ডল। সেই শেফালিদেবীর বিরুদ্ধেই এ বার অনাস্থা আনলেন সিপিএনের ৬ জন, আরএসপির ২ জন ও তৃণমূলের এক জন সদস্য। এ বিষয়ে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে গোসাবার বিডিওর কাছে।
কয়েক মাসের ব্যবধানে ফের অনাস্থা কেন?
লাহিড়ীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সিপিএম নেতা অমল মণ্ডল বলেন, “প্রধান এলাকার উন্নয়নের জন্য পঞ্চায়েতের কোনও টাকা খরচ করছেন না। ১০০ দিনের কাজে শ্রমিকদের মজুরিও বাকি। বার বার বলা সত্বেও তিনি কোনও কথা শুনছেন না। তাই বাধ্য হয়ে অনাস্থা আনা হয়েছে।” সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অচিন পাইকের অভিযোগ, “প্রধান কোনও কাজ করছেন না। উন্নয়নের ক্ষেত্রেও দলবাজি করছেন।” দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন আরএসপির স্থানীয় নেতা আশুতোষ মণ্ডলও। তিনি বলেন, “আর্থিক দুর্নীতির জন্যই অনাস্থা আনা হয়েছে। এই বিষয়ে দলের সমর্থন রয়েছে।” আরএসপি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের ২ জন সদস্য প্রকাশ্য অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন করলেও বাকিরাও পরোক্ষে এই অনাস্থাকে সমর্থন করছেন। প্রধান শেফালি মণ্ডল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মাস্টার রোল জমা না দিয়ে আমাকে মজুরি দিতে বলা হচ্ছে। আমি প্রতিবাদ করার জন্য আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবেন।” গোসাবার বিডিও সুমন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ জমা পড়েছে। বুধবার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।” |