টুকরো খবর
মনোনয়নপত্র তোলা নিয়ে গোলমাল
এ বার বগুলার শ্রীকৃষ্ণ কলেজ। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে একটার পর একটা কলেজে ছড়িয়ে পড়ছে ছাত্র সংঘর্ষ। ১৯ ফেব্রুয়ারি নদিয়ার সব কলেজে নির্বাচন। মঙ্গলবার ছিল বগুলা কলেজে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মূহুর্তে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে কলেজের ভিতরে ও বাইরে। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ছাত্র পরিষদ নেতা এবং কলেজের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক নিত্যগোপাল মণ্ডল বলেন, “প্রথম থেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কাউকে মনোনয়ন জমা দিতে দেবে না বলে হুমকি দিয়েছিল। মঙ্গলবার আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে বাঁশ, লাঠি, অস্ত্র নিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে তৃণমূল। আমাদের দু’জন জখম হয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি জয়ন্ত পাল বলেন, “অভিযোগ মিথ্যা। ওরাই বরং কিছু সমাজবিরোধী নিয়ে এসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার নামে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। আমাদের ছেলেরা তা রুখে দিয়েছে।” কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অরুণকান্তি সাহা বলেন, “একদল ছাত্র মনোনয়ন জমা দিতে এলে অন্য দল তাদের বাধা দিয়েছে। তাই নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল।” এ দিন বগুলা কলেজে গন্ডগোল হতে পারে আঁচ করে পুলিশ প্রশাসন সকাল থেকেই কলেজে মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশকর্মী। তারপরেও এই ধরণের ঘটনা কি করে ঘটল? জেলার পুইলশ সুপার সব্যসাচী রমন মিশ্র অবশ্য বলেন, “খুবই ছোটখাট একটা ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই সামলে নিয়েছে।”

‘হক’ আদায় করলেন মহিলা
অবশেষে নিজের ‘হক’ আদায় করে ছাড়লেন গোলচেহেরা বেওয়া। সামশেরগঞ্জে ব্লকের প্রতাপগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাহেবনগর গ্রামের ওই মহিলার নামে আড়াই বছর আগে ইন্দিরা আবাস যোজনায় গৃহ নির্মাণের জন্য ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করে পঞ্চায়েত। কিন্তু সে টাকা তিনি হাতেই পাননি। পঞ্চায়েত, ব্লক অফিস ঘুরে বহু আবেদন নিবেদনে ফল মেলেনি। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জঙ্গিপুর লোক আদালতের বিচারক বিদ্যুৎ কুমার রায় সামশেরগঞ্জের বিডিওকে এক সপ্তাহের মধ্যে ওই বিধবা মহিলার জন্য বরাদ্দ ৩৫ হাজার টাকা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ষাটোর্ধ্ব গোলচেহেরা বেওয়ার অভিযোগ, ২০১০ সালে তাঁর নামে ইন্দিরা আবাস যোজনায় ৩৫ হাজার টাকা মঞ্জুর হয়। কিন্তু সেই টাকা পঞ্চায়েত কর্তাদের ‘যোগসাজসে’ অন্য এক মহিলা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নেন। গোলচেহেরা বলেন, “বহুবার পঞ্চায়েত ও ব্লক অফিসের দ্বারস্থ হয়ে গলা ধাক্কা ছাড়া আর কিছুই জোটেনি। নিরুপায় হয়ে জঙ্গিপুর এলাক আদালতে অভিযোগ জানাই।” আদালত মঙ্গলবার বিডিও প্রলয় সরকার ও প্রতাপগঞ্জ পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ রফিককে তলব করে। বিডিও প্রলয় সরকার বলেন, “গত নভেম্বরে ওই প্রৌঢ়ার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে প্রশাসনিক তদন্ত করানো হয়। তাতে ধরা পড়ে গোলচেহেরা বেওয়ার নামে বরাদ্দ অর্থ তুলে নিয়েছেন একই নামের অন্য এক মহিলা। ওই মহিলাকে অফিসে ডেকে পাঠিয়ে সেই টাকা ফেরত নেওয়া হয়েছে কয়েকদিন আগে।” বিডিও বলেন, “ভুলবশত এই ঘটনা ঘটেছে।” একই ভাবে ভুল স্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধানও।

গ্রেফতার শাশুড়ি
এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তাঁর শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে চরব্রহ্মনগরের বাসিন্দা সোমা দে (২৫) শ্বশুর বাড়িতে তাঁর নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। মৃতার দাদা বাপ্পা দে নবদ্বীপ থানায় বোনকে হত্যার দায়ে শ্বশুর বাড়ির চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃতার শাশুড়ি স্বপ্না দে-কে গ্রেফতার করে। বাকি অভিযুক্তেরা অবশ্য পলাতক।

ন’জনের কারাদন্ড
খুনের চেষ্টার দায়ে মঙ্গলবার ন’জনকে চার বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দিলেন কৃষ্ণনগরের জেলা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (পঞ্চম আদালত) ফতেমা ইয়াসমিন। সাজাপ্রাপ্তরা সিপিএম কর্মী বলে জানান সরকারি আইনজীবী সুরেন্দ্র ঘোষ। তিনি বলেন, “২০০৮ সালে রাজনৈতিক কারণে সিপিএম সমর্থকরা তৃণমূল কর্মীদের উপর চড়াও হলে নাকাশিপাড়ার লোহাগাছা গ্রামের এক মহিলা সহ পাঁচজন জখম হন। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে একই পরিবারের সাতজন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য এসএম সাদি বলেন, “এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।”

মৃত্যু প্রাক্তন সভাপতির
মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদ জেলা চেম্বার অব কমার্সের প্রাক্তন সভাপতি প্রশান্তকুমার বাগচির। মঙ্গলবার সকালে নিজের বাসগৃহেই মারা গিয়েছেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। প্রায় এক যুগ ধরে তিনি মুর্শিদাবাদ জেলা চেম্বার অব কমার্সের দায়িত্ব পালন করছেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.