|
|
|
|
নন্দীগ্রামে মাওবাদী-তৃণমূল আঁতাঁতের অভিযোগ বুদ্ধের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নন্দীগ্রামে তৃণমূল ও মাওবাদীরা মিলে কী ভাবে ষড়যন্ত্র করছিল তার তদন্ত দাবি করলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
নন্দীগ্রামের ঘটনায় বুদ্ধবাবুকে জেরা করার জন্য সিবিআই-এর কাছে সুপারিশ করেছে রাজ্য সরকার। সেই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুদ্ধবাবু বলেন, “কে কাকে জেরা করে! এ সব কথার কোনও মানে নেই আমার কাছে। আমার যা কথা ছিল, আমার যা কাজ, তার সব মহাকরণে রয়েছে।
ফাইলে। গোপনীয় তার মধ্যে কিছু নেই। কোনও ফাইল লোপাট হতে পারে না। ওখানে সব ফাইল আছে। প্রকাশ্যে আছে।”
নন্দীগ্রামের গুলি চালানোর ঘটনায় তাঁর যে সমর্থন ছিল না তা জানিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গুলিটা না ছুড়লেই ভাল হতো। কিন্তু মাঠে-ময়দানে সবটা নিয়ন্ত্রণে থাকে না।” গুলি চালানোর কথা তিনি জানতেন না বলেও এ দিন দাবি করেছেন বুদ্ধবাবু।
তিনি বলেন, “আমি তখন বিধানসভায়। ঘরে এসে বসলাম। শুনলাম, গুলি চলেছে। একটু পরে কেউ বলল, ফিগারটা (মৃতের সংখ্যা) ১৪। খুব খারাপ লাগল। পরে দেখলাম গুলি চালনায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে অন্য ভাবে। নানা ধরনের আঘাত। সেটাই বা কী করে হল, কারা করল?”
নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বুদ্ধবাবু বলেন, “আইনের শাসন একদম ভেঙে পড়েছিল। খবর আসছিল, মাওবাদীরা-তৃণমূল একসঙ্গে অস্ত্র জড়ো করছিল। প্রশিক্ষণ হচ্ছে। রাস্তা কাটা, গাছ কাটা, অফিস বন্ধ। এই অবস্থা কি চলতে পারে?” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, পিছনে বসে যে সব কাণ্ড হচ্ছিল, “সেগুলিরই আসল তদন্ত হওয়া উচিত।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে থাকেন, তিনি যদি প্রতিহিংসা পরায়ণ হতেন তা হলে সিপিএমের অনেককেই জেলে পচতে হত। এ প্রসঙ্গে বুদ্ধবাবু এ দিন বলেন, “আমি যখন সরকারে ছিলাম, তখন তো ওঁদের অনেকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, অনেক মামলা ছিল। যিনি বলছেন তাঁর বিরুদ্ধেও কি কম অভিযোগ, কম মামলা ছিল? আমি তো একটা নিয়েও এগোইনি।”
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই তিনিই গুলি চালনার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুদ্ধবাবু বলেন, “এ সব মহাকরণ থেকে কেউ পুলিশকে নির্দেশ দেয় নাকি? ওখানে গোলমাল ঘটাল। একটু পরে শুনলাম গুলি চলেছে।”
মদনবাবু এ দিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বিচারবিভাগীয় কমিশনে ডাকার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। ইন্দিরা গাঁধীকে কমিশন জেরার জন্য ডাকতে পারে। তবে বুদ্ধবাবুকে ডাকা যাবে না কেন?” জেরার সময় তাঁকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হলে বুদ্ধবাবুই যে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন, তা তিনি প্রমাণ করে দেবেন বলে দাবি মদনবাবুর। |
|
|
|
|
|