নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হোক না ফিফা অনুমোদিত প্রীতি ম্যাচ, তবু সূচাগ্র মেদিনী না ছাড়ার পণ টিম কোভারম্যান্সের!
মঙ্গলবার কোচিতে ফুটবলারদের নিয়ে যেভাবে দফায় দফায় মিটিং করলেন জাতীয় কোচ তাতেই পরিষ্কার প্যালেস্তাইনের বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিততে কতটা মরিয়া হয়ে রয়েছেন তিনি! রক্ষণের কোনও ভুলের সুযোগ যেন না নিতে পারেন বিপক্ষের ফুটবলাররা সে জন্য রহিম নবিদের আবার আলাদা করে ক্লাস নিয়েছেন ডাচ কোচ। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে রক্ষণে নবি, গৌরমাঙ্গি, ডেঞ্জিল আর নির্মলের খেলার সম্ভবনাই বেশি। বিকেলের অনুশীলনে অবশ্য মাঝ মাঠকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে নিলেন কোভারম্যান্স। কখনও ফ্রান্সিস, লেনি, মেহতাব, ক্লিফোর্ডকে নিয়ে ঘুঁটি সাজালেন। আবার কখনও বা আরাতা, লালকমল, বিনীতদেরও দেখে নিলেন। প্যালেস্তাইনের বিরুদ্ধে সুনীল ছেত্রীকে একমাত্র স্ট্রাইকার হিসেবে সামনে রেখে, একটু পিছন থেকে অলউইন জর্জকে খেলানোর ভাবনা রয়েছে ডাচ কোচের। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন তিনি।
ভারতের থেকে ফিফা র্যাঙ্কিং-এ ১৪ ধাপ এগিয়ে প্যালেস্তাইন। লড়াইটা বেশ কঠিন। তাই বিপক্ষককে বুঝতে তাদের বিভিন্ন খেলার ভিডিও দেখান হয় সুনীলদের। কোভারম্যান্সের মতে, “প্যালেস্তাইন ২০১২’র ওয়েস্ট এশিয়া কাপে খুবই ভাল ফল করেছিল। সেই দলের ৯ জন ফুটবলার এসেছে। প্যালেস্তাইনকে তো সমীহ করতেই হবে। আমরা ওদের ম্যাচের ভিডিও দেখেছি। খুবই শক্তিশালী দল।” এ দিকে অধিনায়ক সুনীল এই ম্যাচকে এএফসি কাপের প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছেন। বললেন, “ক্লাব ফুটবল খেলে এসে দু’দিনের মধ্যেই জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামাটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবু এই ম্যাচ জিততে পারলে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।” কোচিতে এ দিন ম্যাচের আগে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরষ্কার তুলে দেওয়া হবে রহিন নবির হাতে। ট্রফি দেবেন কোভারম্যান্সই। থাকবেন আই এম বিজয়ন এবং জো পল আনচেরি। |