ডার্বি ম্যাচের আগে করিম বেঞ্চারিফা-সহ দলের ফুটবলাররা তীব্র চাপে। মোহনবাগান আদৌ আই লিগে অবনমন বাঁচাতে পারবে কি না, তা নিয়ে সদস্য-সমর্থকদের মধ্যে প্রতিমূর্হূতে আতঙ্ক তাড়া করছে। মোহনবাগান কর্তারা কিন্তু মনে করছেন, আই লিগ থেকে দল দ্বিতীয় ডিভিসনে নামবে না! তাঁরা এতটাই নিশ্চিত যে, সামনের মরসুমের দল গঠন নিয়ে সভা ডেকে দিয়েছেন। আজ বুধবার ক্লাবের সাধারণ সভার পর কর্মসমিতির যে সভা ডাকা হয়েছে, তাতে প্রধান আলোচ্য বিষয়ই হল, ২০১৩-১৪-র দলগঠন। ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র বলে দিলেন, “আমরা নিশ্চিত দল অবনমনে পড়বে না। সে জন্যই সভায় সদস্যদের মতামত চাওয়া হবে নতুন মরসুমে দল গঠন নিয়ে।”
বড় ম্যাচের আগে নতুন মরসুমের দল গঠনের সভা ডাকা নিয়ে অবশ্য ক্লাবের অন্দরেই নানা আলোচনা, গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, ১৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট পাওয়ার পর লিগ টেবিলে মোহনবাগান এখন সবার শেষে। লড়াইটা বেশ কঠিন। তা সত্ত্বেও অবনমন বাঁচানোর ব্যাপারে ক্লাব কর্তারা এতটা নিশ্চিত হচ্ছেন কী করে? ঘটনা যাই হোক, সাধারণ সভায় টিমের পারফরম্যান্স, ডার্বিতে দল তুলে নেওয়া-সহ নানা প্রশ্নে ঝামেলা হতে পারে এই আশঙ্কা করছেন মোহন-কর্তারা। সে জন্যই আজকের সভায় নজিরবিহীন ভাবে মিডিয়ার ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ক্লাব লনে হবে সভায় সদস্যদের ঢুকতে হবে কার্ড দেখিয়ে। নতুন একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন সভায়। শোনা যাচ্ছে রাজ্যের এক মন্ত্রীর নাম। ক্লাবের সাধারণ সভায় ঝামেলা সামলানোর জন্য নানা নির্দেশ জারি করার পাশাপাশি ৯ ফেব্রুয়ারির ডার্বি ম্যাচেও যাতে কোনওরকম গণ্ডগোল না হয় তার চেষ্টা চলছে। এ দিন পুলিশের সঙ্গে ম্যাচের সংগঠক মোহনবাগান কর্তারা যুবভারতী পরিদর্শনে যান। ঠিক হয়, যে নয়টি জায়গা দিয়ে অবাঞ্ছিত দর্শক ঢোকে সেগুলো আটকানো হবে টিন দিয়ে। গ্যালারির যেখানে ইট-পাথর জড়ো করা আছে তা সরিয়ে ফেলা হবে। বাড়তি পুলিশ ছাড়াও ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হবে। ১৬ অগস্ট ১৯৮০-র মর্মান্তিক ঘটনার বিভিন্ন পেপার কাটিং-এর ছবি দিয়ে একটি লিফলেট ছাপিয়েছেন মোহন-কর্তারা। তাতে লেখা, “আর চাই না ১৬ অগস্ট।” ডার্বি ম্যাচের প্রস্তুতি অবশ্য শুরু করে দিয়েছে মোহনবাগান। নিজেদের মাঠেই। কোচ করিম বেঞ্চারিফা এ দিন টোলগে-ওডাফাদের অনুশীলনের পর বলে দিয়েছেন, “ডার্বির সঙ্গে অবনমন বা চ্যাম্পিয়নের কোনও ব্যাপার নেই। এটা একেবারেই অন্য রকম ম্যাচ। অন্যরকম মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে নামতে হয়।” |