লিয়েন্ডার পেজের বাবা হিসেবে যতটা পরিচিত, ততটাই পরিচিত বহু বছর ধরে ডাক্তার হিসেবে ভারতীয় ডেভিস কাপ দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য। সদ্য দায়িত্বটা ছাড়তে হয়েছে বিদ্রোহী জোটের দাবিতে। সেই ডা. ভেস পেজ ভারতীয় টেনিসের এই দুর্দিনে যেমন মর্মাহত, তেমনই উত্তেজিত। কলকাতায় এসে আনন্দবাজারকে দিলেন একান্ত সাক্ষাৎকার।
প্রশ্ন: ভারতীয় টেনিসে যা সব চলছে, তা নিয়ে কী বলবেন?
ডা. পেজ: খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আপনারা যাদের বিদ্রোহী বলছেন, তারা সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থার সঙ্গে বসে ব্যাপারটা মিটমাট করে নিতে পারত। দেখেশুনে তো মনে হচ্ছে মিটমাট করার কোনও ইচ্ছাই নেই ওদের।
প্র: কিন্তু ওঁরা তো বসতে চেয়েছিলেন। সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থার কর্তারাই না কি বসতে চাননি।
ডা. পেজ: তাই না কি? আমি তো উল্টোটাই শুনেছি। তবে তিরানব্বইয়ে যখন খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে এমনই একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তখন মাত্র দু’ঘন্টার বৈঠকে পুরো ব্যাপারটা মিটমাট হয়ে গিয়েছিল। এ বারও হয়তো তেমন ভাবেই মিটিয়ে নেওয়া যেত ব্যাপারটা।
প্র: আপনি ডেভিস কাপ দলের সঙ্গে দীর্ঘ দিন যুক্ত ছিলেন। আপনার নিজের কি মনে হয় না, ওদের দাবিগুলো যুক্তসঙ্গত?
ডা. পেজ: কয়েকটা যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু সব ক’টা নয়। যেমন পারিশ্রমিক বাড়ানোর দাবিটা মানা যেতেই পারে। কিন্তু সবাইকে বিমানে বিজনেস ক্লাসের টিকিট দিতে হবে, এটা ঠিক নয়। যে ছেলেটা একটাও ডেভিস কাপ খেলেনি, তাকেও বিজনেস ক্লাস দিতে হবে। আবার যার দশটা ডেভিস কাপে নামা হয়ে গিয়েছে, তাকেও একই সুবিধা দিতে হবে! এটা তো অর্জন করে নেওয়ার ব্যাপার।
প্র: এআইটিএ বিদ্রোহীদের শাস্তি দেবে না বলে জানিয়েছে। এটা কি ঠিক? এ রকম হলে তো ভবিষ্যতে আবার এমনটা হতে পারে।
ডা. পেজ: দেশের হয়ে খেলতে না পারাটাই তো সবচেয়ে বড় শাস্তি। শৃঙ্খলা বজায় রাখাই যেখানে সবচেয়ে বড় ব্যাপার, সেখানে এই সিদ্ধান্তটা খারাপ কী!
প্র: অনেকে বলছেন, লিয়েন্ডারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ হওয়াটা মহেশের এই বিদ্রোহের উদ্যোগ নেওয়ার অন্যতম কারণ। কেন এতটা খারাপ হল সম্পর্কটা?
ডা. পেজ: জানি না। ছেলের বন্ধুত্ব, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মাথা ঘামাই না আমি। তবে এটা জানি মহেশ ভারতীয় টেনিসের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় আসার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছে। ওর এই ক্ষমতার লোভ দেশের টেনিসেরই ক্ষতি করে দিচ্ছে।
প্র: কিন্তু মহেশের মতো একজন খেলোয়াড় যদি টেনিসের প্রশাসনে আসতে চায়, তা হলে সমস্যা কোথায়?
ডা. পেজ: সমস্যা ওর পদ্ধতিতে। এআইটিএ-র নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আসুক। সেটাই তো সঠিক রাস্তা। |