|
|
|
|
জলের সংযোগের জন্য রসিদ জাল, শুরু তদন্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অবৈধ ভাবে জলের সংযোগ দেওয়ার জন্য পুরসভার স্ট্যাম্প এবং রসিদ জাল করার অভিযোগ উঠল মেদিনীপুরে। এর ফলে জলের সংযোগের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অর্থ দিলেও তা পুরসভায় জমা পড়েনি। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন পুরসভা। অবৈধ ভাবে জলের সংযোগ দেওয়ার জন্য এক ঠিকাদারকে ছ’মাস সাসপেন্ড করা হয়েছে। দু’টি বাড়ির জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
প্রণববাবুর বক্তব্য, “পুরসভার স্ট্যাম্প এবং রসিদ জাল করা হয়েছে। এর ফলে পুরসভার প্রাপ্য অর্থ অন্য কারও পকেটে ঢুকেছে। কে বা কারা এই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, তা তদন্তেই বোঝা যাবে।” |
|
গ্রেফতারের দাবিতে পোস্টার। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
পুরসভা সূত্রে খবর, এই ধরনের বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর কৃষ্ণা ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। এলাকায় পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। তাতে অবৈধ ভাবে জলের সংযোগ দেওয়ার জন্য দোষারোপ করা হয়েছে প্রাক্তন কাউন্সিলর সুভাষময় ঘোষকে। ২০০৩ সালে এই ওয়ার্ডে জেতেন সুভাষময়বাবু। ২০০৮ সালে ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত হয়। জেতেন তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণাদেবী। এ প্রসঙ্গে সুভাষময়বাবুর মন্তব্য, “রাজ্য সরকার তৃণমূলের। পুরসভা তৃণমূলের। তদন্ত হোক। দোষী প্রমাণিত হলে কাউন্সিলর পদত্যাগ করবেন।” প্রাক্তন কাউন্সিলরের মতে, “জলের সংযোগ দেওয়ার সময় কাউন্সিলর শুধু নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দেন। বাকি কাজ পুরসভাই করে। সামনে নির্বাচন রয়েছে। তাই একদল লোক ফের অপপ্রচার শুরু করেছেন।”
ক’দিন আগে ওয়ার্ডের কিছু বাসিন্দা লিখিত ভাবে পুরপ্রধান এবং উপ-পুরপ্রধানের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জানান। বিষয়টি পুরসভার জল দফতরকেও জানানো হয়। অভিযোগ ছিল, রাজীবনগর, প্রগতিপল্লি, করাতিপাড়া, তালপুকুরপাড় প্রভৃতি এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে অবৈধ ভাবে জলের লাইনের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বাড়ির মালিক নির্ধারিত টাকা দিলেও তা পুরসভায় জমা পড়েনি। পুরসভার স্ট্যাম্প এবং রসিদও নকল করা হয়েছে। এই অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করে পুরসভা। গত পাঁচ বছর ধরে এই সব এলাকায় যত জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে, তার কতগুলো বৈধ এবং কতগুলো অবৈধ, তারও তদন্তের দাবি উঠেছে। অভিযোগ গুরুতর মানছেন জল দফতরের পুরপ্রধান-পারিষদ বিশ্বনাথ পান্ডব। তাঁর কথায়, “এটা দুষ্টচক্রের কাজ। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
|
|
|
|