|
|
|
|
ক্রিকেট মাঠে সৌজন্যের সাক্ষী বৈদ্যবাটি পুরসভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শেওড়াফুলি |
বল হাতে এগিয়ে চলেছেন স্বরূপ ঘড়া। বোলারের পরিচয় সিপিএম কাউন্সিলর। বিপক্ষের উইকেট নড়ে যেতেই তাঁর পিঠ চাপড়ে দিলেন ভাইস-চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো, প্রবীর পালেরা। এঁরা আবার তৃণমূলের নেতা। ব্যাট হাতে জয় ছিনিয়ে আনলেন তৃণমূলের শান্তনু দত্ত। তাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে গেলেন ফরওয়ার্ড ব্লক, কংগ্রেসের কাউন্সিলর। তৃণমূল পরিচালিত বৈদ্যবাটি পুরসভার উদ্যোগে ‘সৌজন্যের’ এই ছবি চাক্ষুষ করলেন এলাকার মানুষ।
গত রবিবার পুরকর্মী এবং কাউন্সিলরদের নিয়ে ওই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হয় শেওড়াফুলি রাজমাঠে। ৫টি দল গড়া হয়েছিল। পুরপ্রধান একাদশ ‘বাই’ পেয়ে ফাইনালে পৌঁছয়। বাকি চার দলের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের খেলা হয়। সাফাই বিভাগের নেতৃত্ব দেন স্যানিটারি ইনস্পেক্টর। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ দলের অধিনায়কত্ব করেন সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। মূল্যায়ণ দফতরের নেতৃত্বে ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্যাক্স দারোগা। হিসাব বিভাগের দলনায়ক ছিলেন অর্থ আধিকারিক। ফাইনালে উঠে পুরপ্রধান একাদশের মুখোমুখি হয় অর্থ বিভাগ। সেখানে নির্ধারিত ৫ ওভারে অর্থ বিভাগ ৫ উইকেটে ৪১ রান করে। সিপিএম কাউন্সিলর স্বরূপ ঘড়া ৩ উইকেট নেন। এর জবাবে ৩ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে ফেলে পুরপ্রধানের দল। তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত ২৮ রান করে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন।
খেলাধুলোয় বাদ যাননি মহিলা পুরকর্মী বা কাউন্সিলরেরাও। তাঁদের জন্য ছিল মোমবাতি জ্বালানো এবং মিউজিক্যাল চেয়ার। খেলার পাশাপাশি মধ্যাহ্নভোজনও হল জমিয়ে। পুরপ্রধান অজয়প্রতাপ সিংহ বলেন, “পর পর তিন বছর পুরসভার সবাইকে নিয়ে এই ধরনের খেলা অনুষ্ঠিত হল। মতাদর্শগত ভাবে তফাত থাকতে পারে। পুরসভায় কিন্তু আমরা সকলেই সতীর্থ।” |
|
|
|
|
|