|
|
|
|
ভরে উঠছে খুনের খাতা, প্রশ্নের মুখে আইনশৃঙ্খলা |
প্রকাশ্যে কুপিয়ে মারা হল যুবককে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। এবং নিহতের বিরুদ্ধেও অভিযোগ, বচসার জেরে তিনিই প্রথমে ধারালো অস্ত্রে আঘাত করায় প্রতিশোধ নিতে এই খুন। সব মিলিয়ে আরও এক বার প্রশ্নের মুখে হাওড়া শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি।
মঙ্গলবার বিকেলে হাওড়ার বেলিলিয়াস রোড সংলগ্ন শ্রীনাথ পোড়েল লেনে বাড়ির সামনেই এক যুবককে কুপিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে এলাকারই কয়েক জন বাসিন্দার বিরুদ্ধে। মৃত যুবকের নাম মহম্মদ আরজু (২০)। অভিযোগ, সকালে এলাকারই আর এক যুবক তবরেজ আখতারের সঙ্গে গণ্ডগোল বাধলে আরজু তাকে ধারালো অস্ত্রে আঘাত করেন। এর পরেই বিরোধী পক্ষ বিকেলে আরজুর বাড়ির সামনেই চড়াও হয়ে তাঁকে কুপিয়ে পিটিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অবশ্য কেউ গ্রেফতার হয়নি। |
|
মহম্মদ আরজুর স্ত্রী ও ছেলে। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীনাথ পোড়েল লেনে একটি বাড়িতে সাত ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন আরজু। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, আরজুর পরিবারের অধিকাংশই বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত। এলাকার বাসিন্দারা আরজুকে উঠে যাওয়ার জন্য চাপ দেন। এই নিয়ে মাস চারেক আগে আরজুর সঙ্গে এলাকার কিছু বাসিন্দার সংঘর্ষও হয়। এলাকাবাসীরা আরজুর পরিবারের বিরুদ্ধে কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়ের কাছে গণস্বাক্ষরও দেন। এর পরেই আরজু ও তার সাত ভাইকে এলাকা ছাড়তে হয়। যদিও তাঁর পরিবার এখনও ওখানেই থাকে।
পুলিশ জানায়, সোমবার আরজু তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে দেখতে এলাকায় ফেরেন। এ দিন সকালে ফের তবরেজের সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি। অভিযোগ, তবরেজের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন আরজু। এর পরে বিকেলে সদলবলে আরজুর উপরে চড়াও হন কয়েক জন যুবক। তাঁরাই আরজুকে লোহার রড, শাবল, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালান বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ এসে আরজুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “ওই যুবকের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ এসেছিল। তিনি গণরোষের শিকার হয়েছেন।” অন্য দিকে, হাওড়া পুলিশের ডিসি নিশাত পারভেজ বলেন, “অপরাধমূলক কাজের অভিযোগের জেরে গণপিটুনিতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” |
|
|
|
|
|