|
|
|
|
দশ কোটি ঘুষ চেয়ে সাসপেন্ড ডিআইজি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
মদের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়া ও তাঁকে ভয় দেখানোর অপরাধে সারণের ডিআইজি অলোক কুমারকে সাসপেন্ড করল রাজ্য সরকার। ডিজিপি অভয়ানন্দের কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ আসার পরেই তদন্ত শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে ডিজিপি-র বৈঠকের পরে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরে আজ ওই ডিআইজিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব আমির সুভানি বলেন, “তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। ঘুষ ও ভয় দেখানোর অপরাধে ডিআইজি অলোক কুমারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আজ থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হবে।” প্রসঙ্গত, প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়ার পরেই অলোক কুমারকে পুলিশ সদরে বদলি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি সিওয়ানের মদ ব্যবসায়ী, টুনাজি পাণ্ডে ডিজিপি অভয়ানন্দের কাছে ডিআইজি অলোক কুমারের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ ছিল, মদ তৈরির কারখানা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ। কয়েকদিন পরে তাঁকে ডেকে অলোক কুমার ভয় দেখিয়ে বলেন, মদে যে পরিমাণ স্পিরিট এবং অ্যালকোহল থাকার কথা তা নেই। সুতরাং মদের কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপর বলা হয়, ১০ কোটি টাকা দিলে সমস্যা মিটে যাবে। রিভলভার দেখিয়ে বলা হয়, যদি ওই টাকা না মেলে তবে টুনাই এবং তাঁর পরিবারকে মেরে ফেলা হবে। অভিযোগ পাওয়ার পর ডিজিপি একজন আইজি-র নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গড়েন। ১৮ জানুয়ারি তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ে। তাতেই ওই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। এরপর অর্থনৈতিক অপরাধ শাখায় এই ব্যাপারে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, অলোক কুমার জম্মু ও কাশ্মীর ক্যাডারের আইপিএস অফিসার। বিহারে তিনি ডেপুটেশনে আছেন। এর আগে তিনি পটনার সিনিয়র পুলিশ সুপার হিসেবেও কাজ করেছেন। |
|
|
|
|
|