|
|
|
|
উত্তর-পূর্বের সড়ক প্রকল্পের পর্যালোচনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
প্রতিকূল আবহাওয়া ও সন্ত্রাসই উত্তর-পূর্বে সড়ক সম্প্রসারণ ও যোগাযোগ পরিকাঠামো উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা। এমনই মনে করেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী সি পি যোশি।
দু’দিনের সফরে এসে অসম, অরুণাচল-সহ উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যের ‘স্পেশ্যাল অ্যাকসেলারেটেড রোড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ ও ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর কাজকর্মের পর্যালোচনা করলেন তিনি। এই দুই প্রকল্পের অধীনে, প্রথম পর্যায়ে উত্তর-পূর্বে ৩৩,৬৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬,৪১৮ কিলোমিটার সড়ক তৈরি করা হচ্ছে। বৈঠকে অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকি, অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ও অন্যান্য রাজ্যের পূর্ত মন্ত্রীরাও অংশ নেন। ছিলেন কেন্দ্রীয় এনএইচএআই চেয়ারম্যান আরপি সিংহ, সড়ক বিকাশ নিগমের ডিজি তথা জাতীয় সড়ক বিভাগের বিশেষ সচিব সি কাণ্ডস্বামী ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের কর্তারা।
আজ সাংবাদিক সম্মেলনে যোশি বলেন, “উত্তর-পূর্বের দূর্গম ভূপ্রকৃতিতে সড়ক প্রকল্প দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে জমি অধিগ্রহণের কাজে বিভিন্ন ধরণের বাধা আসছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বছরের অনেকটা সময় কাজ বন্ধ রাখতে হয়। কিছু অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলাও বড় সমস্যা। তাই বিভিন্ন প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি ধীর লয়ে হচ্ছে।” নাবাম টুকি বলেন, “বাকি ভারতের সঙ্গে এখানকার আবহাওয়া যেহেতু এক নয়, তাই উত্তর-পূর্বের জন্য প্রকল্প পরিকল্পনার সময়েই বিশেষ কার্য-সূচি তৈরি করা উচিত। সেই সঙ্গে খসড়া প্রকল্প চূড়ান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বিস্তর লাল ফিতের ফাঁস থাকে। তা পার হতে হতে ব্যয় বরাদ্দ অপেক্ষা প্রকৃত ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে যায়।” ‘লুক ইস্ট নীতি’র সঙ্গে সঙ্গতি রেখে, মায়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও স্টিলওয়েল রোড ফের খোলার ব্যাপারে টুকি আবেদন জানান। অরুণাচলের তরফে বর্তমান গুয়াহাটি-ভালুকপং-তাওয়াং রাস্তার বিকল্প হিসেবে গুয়াহাটি থেকে ভায়া ভুটান, লুমলা-ব্লেটিং-তাশিগং হয়ে তাওয়াং যাওয়ার রাস্তা তৈরির প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। যোশি জানান, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর ও ব্রহ্মপুত্রের উপরে নতুন সেতুর কাজ শেষ হবে। |
|
|
|
|
|