মান নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী
উচ্চশিক্ষায় বেশি নজরের মাসুল কেন্দ্রের
উপিএ আমলে উচ্চশিক্ষার সামগ্রিক মান নিয়ে আজ উদ্বেগ প্রকাশ করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।
২০০৩ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালামের সময়ে শেষ বার কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের বৈঠক হয়েছিল। তার প্রায় এক দশক পর ফের আজ উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করলেন, দেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়লেও গুণগত মানের কোনও উন্নতি হয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে ভারত। বিশ্বের প্রথম ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঠাঁই পায়নি এ দেশের একটিও প্রতিষ্ঠান। প্রসঙ্গত, ইউপিএ শাসনকালের দু’টি পর্বেই উচ্চশিক্ষা ছিল কংগ্রেসের হাতে।
প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্বেগ আজ উস্কে দিয়েছে শিক্ষানীতি নিয়ে পুরনো বিতর্ক। বরাবরই দেখা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষার চেয়ে উচ্চশিক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকার জোর দিয়েছে বেশি। অথচ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতো বিশিষ্টরা মনে করেন, প্রাথমিক শিক্ষায় অগ্রাধিকার না দিলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গুণগত মানের ফারাক হবেই। একই রেওয়াজ দেখা গিয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও। সম্প্রতি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে যোজনা কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, সরকারের উচিত প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নত করা। কিন্তু মন্ত্রক উচ্চশিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসায় প্রাথমিক শিক্ষা উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে। অনেক সময়েই প্রাথমিক শিক্ষা কার্যত সাক্ষরতা অভিযানে আটকে থেকেছে। উপরন্তু সরকার স্কুলে পরীক্ষা তথা পাশ-ফেল তুলে দেওয়ার পথে হাঁটায় ছাত্রদের মানও পড়ে গিয়েছে। এই সবেরই প্রভাব পড়েছে উচ্চশিক্ষায়।
অথচ তথ্য বলছে, গত দশ বছরে দেশে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বেড়েছে ২৭টি। নতুন আইআইটি ও আইআইএম হয়েছে যথাক্রমে ৯টি ও ৭টি। সব মিলিয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অন্তত ৫১টি নতুন প্রতিষ্ঠান হয়েছে। ভর্তিও বেড়েছে প্রায় ৯ কোটি। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানগুলির গুণগত মান আশানুরূপ নয়। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “গুণগত মান ও উৎকর্ষ না বাড়িয়ে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে তা প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়। দেশের বহু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানই প্রয়োজনীয় মানের ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি। পরিবর্তিত সময়ের দাবি মেনে তারা পাঠ্যক্রমে বদলাতেও ব্যর্থ। ফলে সেগুলির স্নাতকদের চাকরির বাজারে দাম নেই।” তিনি জানান, দ্বাদশ যোজনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির উৎকর্ষ বাড়ানোই তাঁদের লক্ষ্য।
আরও নমনীয় ও যুগোপযোগী হতে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে আবেদনও জানান তিনি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.