|
|
|
|
কাশ্মীর ছাড়লেন প্রগাশের সদস্য |
সাবির ইবন ইউসুফ • শ্রীনগর |
জম্মু-কাশ্মীরের ভেঙে যাওয়া মহিলা ব্যান্ড ‘প্রগাশ’-এর সদস্যদের হুমকি দেওয়া নিয়ে অবশেষে এফআইআর করল পুলিশ। আজ রাজবাগ থানায় এফআইআর করা হয়েছে।
মহিলা ব্যান্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রধান মুফতি। তার পরেই গান গাওয়া ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই ব্যান্ডের তিন কন্যা নোমা, ফারা ও অনিকা। কিন্তু তাঁদের অনলাইনে হুমকিও দেন অনেকে। মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানান, ‘প্রগাশ’-এর তিন কন্যা নোমা, ফারা ও অনিকাকে যে সব ওয়েব পেজ থেকে হুমকি-মেল পাঠানো হচ্ছিল সেগুলির আইপি অ্যাড্রেস খোঁজার চেষ্টা চলছে। তবে প্রথমে কোন ওয়েবপেজ থেকে ব্যান্ডের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, অসংখ্য অনথিভুক্ত খবরের ওয়েবসাইটের উপরে নজর রাখছে তারা। ফেসবুকেও বহু ভুয়ো অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ‘প্রগাশ’-এর সদস্যদের হুমকি দিতে ওই ধরনের ওয়েবসাইট ও ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
রাজবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এই বিষয়ে তদন্ত করার দায়িত্ব পেয়েছেন সাইবার অপরাধ দমনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি সুপার ফিরোজ ইয়াহা ও বিশেষ সুপার আসিক হুসেন বুখারি। দোষীদের ধরতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারায় অভিযোগ করা হবে। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। জরিমানা হতে পারে প্রায় দু’লক্ষ টাকা। অনথিভুক্ত খবরের ওয়েবসাইটের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথাও ভাবছে প্রশাসন। শ্রীনগরের জেলাশাসক বাসির আহমেদ খান জানিয়েছেন, উপযুক্ত সময়ে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘প্রগাশ’ গান গাওয়া চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে আজও জানিয়েছে ওমর সরকার। কিন্তু, গানে আর মন নেই ‘প্রগাশ’-এর তিন কন্যার।
সঙ্গীত জগৎ থেকে সরে যাওয়ার পরে ‘প্রগাশ’-ত্রয়ী, তা জানাতে রাজি নন তাঁদের পরিবার। তবে জানা গিয়েছে, বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে তিন কন্যার এক কন্যা আপাতত ঠাঁই নিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। আর এক জন জানিয়েছেন, প্রধান মুফতি বলেছেন তাঁদের গান গাওয়া ইসলাম-বিরোধী। কাশ্মীরের মানুষ তাঁদের গান গাওয়ায় যে খুশি নন তা তাঁরা জানতেন না। ওই তরুণীর বক্তব্য,“আমাদের কাজকর্ম ইসলাম-বিরোধী কি না তা জানা নেই। তবে প্রধান মুফতিকে শ্রদ্ধা করি। তাই তাঁর ফতোয়ার পরে গান গাওয়া ছেড়ে দিয়েছি।” |
|
|
|
|
|