আপাতত অচলাবস্থা কাটল ঘোজাডাঙা সীমান্তে। আজ, বুধবার থেকে সীমান্ত বাণিজ্যের কাজ ফের শুরু হবে বলে জানিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। শ্রমিকদের কাজের নিরাপত্তা দেওয়ার দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। ছোট-বড় সব পণ্যবাহী লরিই এখন থেকে এই সীমান্ত দিয়ে সরাসরি বাংলাদেশের ভোমরায় ঢুকতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের তরফে এর আগে জানানো হয়েছিল, ১০ চাকার বড় লরিতে পণ্য তাঁদের দেশে সরাসরি ঢুকতে দিতে হবে। ঘোজাডাঙায় মাল খালাস করে ছোট লরিতে তুলে বাংলাদেশে আনতে গেলে তাঁদের আর্থিক ক্ষতি হয়। আমদানি এবং রফতানি কারক সংস্থাগুলিও মাঝপথে মাল নামানো নিয়ে বিরোেধে ১৯ জানুয়ারি থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে পণ্য পরিবহণ। ক্ষতি হয়েছিল ৭০ কোটিরও বেশি টাকার। মঙ্গলবার এই বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল। সেখানেই ঠিক হয়, সরাসরি বাংলাদেশে মাল খালাস করবে এদেশ থেকে যাওয়া লরি। কাজ হারানো শ্রমিকদের অন্য কাজের সংস্থান করা হবে।
জেলাশাসক পরে বলেন, “সকলে একমত হয়েছে, বুধবার থেকেই সীমান্ত-বাণিজ্য স্বাভাবিক হবে। ছোট-বড় সব গাড়ি সরাসরি পণ্য নিয়ে ও পারে যাবে। শ্রমিক সংগঠনগুলিকে তাদের শ্রমিকদের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। সকলে যাতে কাজ পায়, সেটা দেখা হবে।” রফতানিকারকদের তরফে গোলাম মোস্তাফা এ দিন বলেন, “অবশেষে জেলা প্রশাসন হস্তক্ষেপ করায় সমস্যা মিটল। আশাকরি আর সমস্যা হবে না।”
প্রশাসনের ভূমিকায় খুশি লরি সমিতি, ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন, ঘোজাডাঙা ক্লিয়ারিং ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোশিয়েসনের যৌথ ইন্দো-বাংলা বৈদেশিক বাণিজ্য সমন্বয় কমিটি। জেলাশাসক শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের দায়িত্ব নেওয়ায় বড় সমস্যার সমাধান হল বলে জানান কমিটির তরফে খোকন গাজি। তাঁর কথায়, “জেলাশাসক এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের কথা মতো এ বার থেকে ছোট-বড় লরিতে করে পণ্য সরাসরি সীমান্তের ও পারে ভোমরাতে পাঠাতে পারব। এতে সকলেরই সুবিধা হবে।” |