ছয় মাস আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছে পরিকাঠামো। মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করানোর কথা প্রথমে ভাবা হয়েছিল। অথচ তার পর বার কয়েক উত্তরবঙ্গ সফরে তিনি এলেও ব্যস্ততার মধ্যে সময় দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে উদ্বোধন করা হচ্ছে ফুলবাড়ি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনের অত্যাধুনিক পরিকাঠামোর। বুধবার পরিকাঠামোর উদ্বোধন করবেন তিনি। ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হয়েছে অত্যাধুনিক ফুলবাড়ি ‘ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন’-এর পরিকাঠামো। অ্যাসিস্টেন্ট টু স্টেট ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট অব এক্সপোর্ট স্কিম (এসাইড) প্রকল্পে আর্থিক সহায়তায় এসজেডিএ এ কাজ করেছেন। এসজেডিএ’র তরফে ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনের দায়িত্ব শুল্ক দফতর-এর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। শিল্পমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত থাকার কথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, শুল্ক দফতরের আধিকারিক, এসজেডিএ’র কর্মকর্তা এবং আধিকারিকদের। এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “বুধবার শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফুলবাড়ি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনের অত্যাধুনিক ওই পরিকাঠামোর উদ্বোধন করবেন। অত্যাধুনিক পরিকাঠামো গড়ে ওঠায় এই সড়ক পথে বহির্বাণিজ্যের সমৃদ্ধিতে তা সহায়ক হবে।” দু’বছর আগে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় ওই সীমান্ত বাণিজ্য পথের উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। এই সড়ক বাণিজ্য পথ চালু করতে উদ্যোগী ছিলেন তৎকালীন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী, প্রাক্তন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য। অত্যাধুনিক পরিকাঠামো বলতে ঠিক কী গড়ে তোলা হয়েছে? এসজেডিএ সূত্রেই জানা গিয়েছে, একসঙ্গে দু’শো ট্রাক দাঁড়াবার জায়গা, চটজলদি পণ্য পরীক্ষার অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। পর্যাপ্ত জায়গার সুবিধা যুক্ত ওয়্যারহাউজ, একই ছাদের তলায় বহির্বাণিজ্যের বিভিন্ন দফতর সবই থাকছে। দোতলা প্রশাসনিক ভবনে পণ্য মজুত রাখার গুদাম, ‘ওয়ে ব্রিজ’ রয়েছে। পণ্য এবং পণ্যের নমুনা পরীক্ষার জন্য অত্যাধুনিক এক্স-রে স্ক্যানার, ক্লোজ সার্কিট টিভি রাখা হয়েছে। প্রায় ১০ একর জায়গার উপর ওই এলসিএসের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়। গত অগস্টে পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। |