|
|
|
|
নির্দেশ থাকলেও বাড়িতে ঢুকতে পারলেন না বৃদ্ধা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
ক্যানসার আক্রান্ত বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁরই ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে সিউড়ি থানার পুলিশ মঙ্গলবার ওই বৃদ্ধাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু বৃদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ছায়া চক্রবর্তী ও তাঁর বড় ছেলে ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ ডাঙালপাড়ায় পৌঁছে দেখলেন তালা ঝুলছে।
পুলিশ জানায়, ছায়াদেবীর ছোট ছেলে লালকমল চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী শান্তশ্রী দেবী বাড়িতে তালা মেরে কোথাও চলে যাওয়ায় দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করেও তাঁদের বাড়িতে ঢোকানো যায়নি। তালা ভেঙে বাড়িতে ঢোকাতে গেলে আদালতের নির্দেশ লাগবে। জেলার পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “আদালতের কাছে পুলিশ ওই বাড়িটির তালা ভেঙে ছায়াদেবীদের ঘরে প্রবেশ করানোর অনুমতি চাইবে।” |
|
তালা বন্ধ বাড়ির সামনে অসুস্থ ছায়া চক্রবর্তী। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একদা দিল্লিবাসী লালকমলবাবু তাঁর পরিবারকে নিয়ে বছর খানেক আগে সিউড়িতে বাবা-মার বাড়িতে বসবাস করতে আসেন। মাস চারেকের মধ্যেই তাঁদের সঙ্গে পারিবারিক অশান্তি শুরু হয় বলে জানিয়েছেন ছায়াদেবী। তাঁদের দাবি, কয়েক দিন আগে লালকমলবাবু ছায়াদেবী, ইন্দ্রনীলবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করে নিজের বাড়ি থেকে বের করে দেন। ছায়াদেবীর অভিযোগ, “ওই দিন তাঁরা মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দিলেও উল্টে আমাদের নামেই থানায় বধূ নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ করে। বড় ছেলের জেল হাজত হয়। আমি হাসপাতালে ভর্তি থাকায় জামিন পাই।” হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে কোনও রকমে দিন কাটাতে শুরু করেন। ইন্দ্রনীলবাবু বলেন, “আমি তখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। গত ৩০ জানুয়ারি জামিন পেয়ে বেরিয়ে দেখি মা নেই। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে আছেন।” তিনি আরও বলেন, “গত ৩০ জানুয়ারিই সিউড়ি আদালত মাকে ডাঙালপাড়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মেনেই এ দিন পুলিশ একটি গাড়িতে করে আমাদের নিয়ে যায়। কিন্তু বাড়িতে তালা থাকায় নিজেদের বাড়িতে প্রবেশ করতে পারিনি।” এ দিকে, ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও অভিযোগ প্রসঙ্গে লালকমলবাবু কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। |
|
|
|
|
|