|
|
|
|
লোবা-কাণ্ড |
পঞ্চায়েতে লড়লে কমিটিকে সমর্থন জানাবে পিডিএস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
পাখির চোখ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই নতুন করে জনসমর্থন আদায়ে উদ্যোগী হল লোবা কৃষিজমি রক্ষা কমিটি। দুবরাজপুরের লোবা গ্রামের ধর্নামঞ্চ থকে তিন কিলোমিটার দূরের আমুড়ি ও ঝিরুল গ্রামের মাঝামাঝি থাকা হিংলো নদীর সেচখাল ঘেঁষে মঙ্গলবার সভা করে কমিটি। তাদের নেতৃত্বের দাবি, এ দিনই তাঁদের শিবিরে শ’দুয়েক স্থানীয় সিপিএম ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থক যোগ দিয়েছেন। জেলা সিপিএম বা তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন।
অন্য দিকে, লোবা সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় পক্ষ হওয়ার যে আর্জি জানিয়েছিলেন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত লোবা অঞ্চলের পাঁচ গ্রামবাসী, সেই আর্জি মঙ্গলবারই গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। গত ৬ নভেম্বর লোবায় পুলিশি অভিযান হয়। পুলিশ-গ্রামবাসী সংঘর্ষে আহত হন ওই পাঁচ জন। পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। গত ২৬ নভেম্বর ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন জনৈক ইমতিয়াজ আহমেদ। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট জমা দিতে বলে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। |
|
লোবায় সভা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত। |
আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে এসপি দাবি করেন, লোবায় গুলি চলেনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন কৃষিজমি রক্ষা কমিটি নেতৃত্ব ও ঘটনায় আহত পাঁচ জন। তাঁরা ওই মামলার পক্ষ হতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনে আহতেরা উপযুক্ত ক্ষতিপুরণ এবং সিবিআই তদন্তও দাবি করেন আইনজীবী জিতেন পাল, কিশোর মুখোপাধ্যায়দের মাধ্যমে। জিতেনবাবু এ দিন বলেন, “ওই ডিভিশন বেঞ্চে আহতদের আবেদন গৃহীত হয়েছে। হলফনামা দিয়ে আহতদের বক্তব্য পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।” আবেদনকারীদের মধ্যে পূর্ণিমা ডোম, গৌতম ঘোষদের কথায়, “আবেদন গ্রহণ হওয়ায় আমরা খুশি। আমরা সুবিচার চাই।”
এক দিকে যখন লোবা-কাণ্ড নিয়ে মামলা চলছে, অন্য দিকে তখন এলাকায় জনসমর্থন বাড়াতে তৎপর হয়েছেন কৃষিজমি রক্ষা কমিটির নেতারা। সেই লক্ষ্যেই পঞ্চায়েত ভোটে লড়ার ইঙ্গিত মিলেছে কমিটির কথায়। কমিটির সম্পাদক জয়দীপ মজুমদার, সভাপতি ফেলারাম মণ্ডলরা অবশ্য মুখে বলছেন জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া এখনও বাকি। তবে ২০০৮-এর মতো এই পঞ্চায়েত নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে, কমিটিরই এক নেতার কথায়, “সব বড় রাজনৈতিক দলই চাইছে লোবা গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের দলে থাকুক। সেক্ষেত্রে আমরাই বা কেন সেই সুযোগ নেওয়ার কথা ভাবব না?” দীর্ঘদিন ধরে কৃষিজমি রক্ষা কমিটির আন্দোলনে পাশে থাকা পিডিএস নেতা সমীর পূততুণ্ড বলেন, “আনুষ্ঠানিক ভাবে না হলেও কমিটি আমাকে জানিয়েছে, তারা পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে চায়। সেটা হলে আমরা কমিটিকে সমর্থন করব। এখানে পিডিএস কোনও প্রার্থী দেবে না।” এ দিনই লোবা যান সমাজবাদী মঞ্চের আহ্বায়ক সমীর ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এখানে ঠিক কী ঘটেছে, তা জানতে এসেছি। সমাজকর্মী মেধা পাটকর এবং বিচারপতি সাচারকে আমি রিপোর্ট দেব।” |
|
|
|
|
|