টুকরো খবর
দুষ্কৃতী ধরতে যৌথ তল্লাশি দু’রাজ্যের
সালানপুরের গয়নার দোকানের মালিককে মারধর করে লুঠপাটের ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের খোঁজে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া থানাগুলিকে উভয় তরফেই চিরুনি তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এসিপি (পশ্চিম) তন্ময় মুখোপাধ্যায় জানান, ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশ সবরকমের চেষ্টা চালাচ্ছে। সোমবার রাতে ওই সোনার দোকানে লুঠপাট চালিয়েছিল চার দুষ্কৃতী। দুটি মোটরবাইকে এসে দোকানের মালিক সুবোধ কর্মকারের মাথায় রিভলভার দিয়ে মেরে ফাটিয়ে দেয় তারা। পরে লুঠপাট করে ঝাড়খণ্ডের দিকে পালিয়ে যায়। এর পরে গভীর রাত পর্যন্ত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নেমে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান। রূপনারায়ণপুর বাজার সমিতির পক্ষ থেকে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি তোলা হয়েছে। রূপনারায়ণপুর, সামডিহি, ডাবর-সহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির উপরে। কিন্তু পুলিশকর্মী ও অফিসারের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এ ছাড়া স্টেশন রোড, বিহার রোড ও হাসিপাহাড়ি অঞ্চলও ইদানীং দুষ্কৃতীদের আখড়া হয়ে উঠেছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। পুলিশি সক্রিয় না হওয়ায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য ঠেকানো যাচ্ছে না। ফলে আরও বেশি পুলিশি নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন তাঁরা। পুলিশের আশ্বাস, অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৈঠক ভণ্ডুল করার নালিশ পাণ্ডবেশ্বরে
আইএনটিটিইউসি বাদে ইসিএলের সক্রিয় অন্য সব ক’টি শ্রমিক সংগঠন নিয়ে গঠিত জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির বৈঠক থেকে মাইক খুলে নিয়ে বৈঠক ভন্ডুল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডবেশ্বরের ডালুরবাঁধ কোলিয়ারি এলাকায়। সিপিএম বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় জানান, ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটের প্রস্তুতি নিয়ে ডালুরবাঁধ দুর্গামন্দিরে সংগঠনের প্রতিনিধিরা একটি বৈঠকের আয়োজন করেন। তাঁর অভিযোগ, বৈঠক শুরু হতেই জনা কুড়ি তৃণমূল কর্মী সেখানে চড়াও হয়। তারা মাইক ও ঝাণ্ডা খুলে নেয়। গৌরাঙ্গবাবুর অভিযোগ, “এর পরে আমাদের কর্মীরা ডালুরবাঁধ ক্যান্টিনে মাইক ছাড়ায় বৈঠকের জন্য জড়ো হয়। আমি এবং রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য তথা সিপিআই নেতা আর সি সিংহ সেখানে যাই। সেখানেও বৈঠকের সময়ে তৃণমূলের কর্মীরা গালিগালাজ করে। তার মধ্যেই বৈঠক করি।” তবে তৃণমূলের পাণ্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতি নরেন চক্রবর্তী যদিও বলেন, “ওরা বন্ধের পক্ষে বৈঠক করছিল। আমাদের কর্মীরা বন্ধের বিরুদ্ধে মিছিলের আয়োজন করেছিল। আমরা কাউকে তাড়িয়ে দিইনি। যা করার পুলিশই করেছে।” পুলিশ জানিয়েছে, বিনা অনুমতিতে মাইক বাজিয়ে বৈঠক চলছিল। বারণ করলে তাঁরা চলে যান।

বকেয়ার দাবি
আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বকেয়া বেতন-সহ ছ’দফা দাবিতে আসানসোল জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্রের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বিএনআর মোড় অবরোধ করেন তাঁরা। আসানসোল ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রতিবাদপত্রও দেন। তাঁদের অভিযোগ মূলত এই সংস্থার পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে সংস্থার অন্যতম শিক্ষক মাধব রায় জানান, এই দাবিগুলি বহুদিন থেকেই তাঁরা জানিয়ে আসছেন। কিন্তু কোনও সুরাহা মিলছে না। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট জয়দীপ দাস জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের কাছে জানাবেন।

গাড়িতেই চালকের রক্তাক্ত দেহ
এক গাড়ি চালকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করল হিরাপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার বার্নপুরের রিভারসাইড এলাকার তিন নম্বর রাস্তায় চালকের নিজের গাড়িতেই রক্তাক্ত ওই দেহটি পাওয়া যায়। মৃতের নাম মহম্মদ রাজা কুরেশি (১৮)। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান তাঁকে খুন করা হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এসিপি (পশ্চিম) তন্ময় মুখোপাধ্যায় জানান, সকালে ওই এলাকার বাসিন্দারা খবর দেন, বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে একটি ছোট লরি এলাকায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। পুলিশ সাড়ে ১১টা নাগাদ গিয়ে দেখতে পায়, চালকের আসনেই দেহটি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তাঁর পিঠের উপরে একটি ভোজালি রাখা আছে। পুলিশ ও মৃতের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ হিরাপুরের সাতাডাঙা এলাকার বাসিন্দা রাজা কুরেশি নিজের গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। তারপরে এই ঘটনা ঘটে। ওই চালক এলাকায় যথেষ্ট পরিচিত ছিলেন। তবে তাঁর কোনও শত্রু ছিল কি না তা জানা যায়নি। দেহটি আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এসিপি জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে এটি খুনের ঘটনা হলেও কী কারণে খুন করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ খোঁজখবর করছে।

দোকানে শাটার ভেঙে লুঠ
দোকানের শাটার ভেঙে চুরি হল নিয়ামতপুরে। —নিজস্ব চিত্র
কাল্লার ঘটনার একদিনের মধ্যেই আবার দোকানের শাটার ভেঙে লুঠপাটের ঘটনা ঘটল কুলটি থানার নিয়ামতপুরে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর তদন্তে গিয়েছে নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। তবে দুষ্কৃতীরা কেউ ধরা পড়েনি। নিয়ামতপুরের চিত্তরঞ্জন রোডে একটি ব্যাটরি ও ইলেকট্রনিক্সের দোকান চালান স্থানীয় বলাইচন্দ্র গড়াই। তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, সকালে এলাকাবসীদের কাছে খবর পেয়ে তিনি দেখেন দোকানের শাটার ভাঙা। শাটারের তলার দিকের বেশ কিছুটা অংশ উপড়ে ফেলা হয়েছে। এরপর তিনি নিয়ামতপুর পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতিতেই দোকান মালিক জানান, কয়েক লক্ষ টাকার ব্যাটরি, ইনভার্টার ও ইলেকট্রনিক্সের জিনিসপত্র খোয়া গিয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এসিপি (পশ্চিম) তন্ময় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই চুরির ঘটনায় পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

তৃণমূলের সভা
এক বছর আগে, একশো দিনের কাজ নিয়ে বচসায় কাঁকসার দোমড়া গ্রামে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সি সিপিএম কর্মীদের হাতে মার খেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাঁকে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই ঘটনার প্রতিবাদে দোমড়ায় মঙ্গলবার একটি সভার আয়োজন করে তৃণমূল। ছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক তথা দলের শিল্পাঞ্চল সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে দলীয় কর্মীদের সঠিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি। সভায় হাজির ছিলেন দেবদাসবাবুও।

বিকল ট্রান্সফর্মার, সমস্যায় খনি কর্মীরা
বারো দিন ধরে বিকল খনি কর্মী আবাসনের ট্রান্সফর্মার। ফলে কার্যত বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন জেকে নগর কোলিয়ারির আবাসিক কর্মীরা। এরসঙ্গেই কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ এলাকা সাফাই করছে না। ফলে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ তুলে জেকে নগর কোলিয়ারির এজেন্ট কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালেন কেকেএসসির নেতৃত্বে খনি কর্মীরা। এ দিন দাবিপত্র দেন তাঁরা। খনি কর্তৃপক্ষ জানান, ট্রান্সফর্মার সারানো হচ্ছে। দ্রুত সমস্যা মিটবে।

ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
এক কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বুদবুদ থানার কোটা গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম সৌরভ ভট্টাচার্য (১৬)। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদে ওই কিশোর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.