|
|
|
|
দত্ত Vs রুদ্র
রুদ্রনীল ঘোষ পরিচালিত ছবির কাজ শেষ না করেই চলে
গেলেন অঞ্জন দত্ত। কেন? উত্তর খুঁজলেন ইন্দ্রনীল রায় |
এক জন অন্য জনকে অভিনয়ের গুরু মানেন।
তাই পরিচালক হিসাবে তাঁর প্রথম ছবি ‘শূন্য’তে রুদ্রনীল ঘোষ একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র অফার করেছিলেন অঞ্জন দত্তকে।
সেই মতো গত মাসের ১৫ তারিখ থেকে কালিম্পং ও তার আশে পাশে অঞ্জন দত্তকে নিয়ে শ্যুটিংও শুরু হয়। ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ তারিখ শ্যুটিংও করেন তিনি। তাঁর পরের শ্যুটিংয়ের ডেট ছিল ২৩ জানুয়ারি থেকে।
এখানেই ঝামেলার শুরু।
২৩ তারিখ আর শ্যুটিং করতে কালিম্পং ফেরেননি অঞ্জন দত্ত।
“২৩ তারিখে ফেরার জন্য ওঁর প্লেনের টিকিট ও বাকি সব ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম। কিন্তু তার ঠিক আগেই আমি এসএমএস পাই ওঁর কাছ থেকে যে, ওঁর শরীর খুব খারাপ। কোনও মতেই আসতে পারবেন না উনি। সব চেয়ে হাস্যকর, উনি আমাকে বলেন, কলকাতাতেই পাহাড়ের শ্যুটিংটা ‘চিট’ করে নিতে। কী আর বলব? এর মধ্যেই নানা মহল থেকে খবর পাই যে, উনি দার্জিলিং উৎসবে গান গেয়েছেন। মানে উনি দার্জিলিং-এ ছিলেন কিন্তু কালিম্পংয়ে ফিরলেন না। শুনেছি এর আগেও নাকি এমন করেছেন উনি। উনি নিজে এক জন পরিচালক, ওঁর তো জানা উচিত কোনও অভিনেতা এমনটা করলে কতটা ক্ষতি হতে পারে ছবির,” শুটিংয়ের ফাঁকে জানালেন বিরক্ত রুদ্রনীল ঘোষ।
অঞ্জন দত্ত না পৌঁছালেও বাকি শ্যুটিং চলেছে নিয়ম মতো। মুখ্য চরিত্রে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় প্রচণ্ড শরীর খারাপ নিয়েও শ্যুটিং শেষ করে কাল কলকাতায় ফিরেছেন। শ্যুটিং করেছেন তনুশ্রী চক্রবর্তীও। এর মধ্যে রূপম ইসলামকে নিয়ে প্রোমোশনাল ভিডিও শ্যুট করেছেন রুদ্রনীল।
কিন্তু অঞ্জন দত্তের ব্যবহারে দুঃখিত রুদ্রনীল জানাচ্ছেন অঞ্জন দত্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী তাঁর প্রযোজক অপূর্ব সাহা। “এখানে এসেছিলেন অপূর্ব সাহা। তিনিও জানতে পেরেছেন শরীর খারাপ বলে শ্যুটিং না করে অন্য জায়গায় শো করেছেন অঞ্জন দত্ত। উনি বলেছেন কলকাতায় ফিরেই অঞ্জন দত্তের নামে অভিযোগ জানাবেন আর্টিস্ট ফোরামে,” জানাচ্ছেন পরিচালক।
অঞ্জন দত্তকে আনন্দ প্লাসের পক্ষ থেকে ফোন করা হলে বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না।”
অঞ্জন দত্ত কথা না বললেও, অপূর্ব সাহা কিন্তু চুপ থাকছেন না। “এমনিতে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি ধুঁকছে। তাও আমরা প্রযোজক হিসাবে ইন্ডাস্ট্রির যাতে ভাল হয়, যাতে কর্মসংস্থান হয় তার জন্য ছবি করছি। কিন্তু এক জন আর্টিস্ট যদি পেমেন্ট পেয়েও এমন করে তবে সেটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। এখন অন্য কারওকে নিয়ে শ্যুটিং করাতে হলে আরও ১৫-২০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। অঞ্জন দত্ত সেটা কি বোঝেন না? রুদ্ররা শ্যুটিং থেকে ফিরলেই আমি আর্টিস্ট ফোরামে অভিযোগ জানাব। অত সহজে পার পাবেন না উনি। আমি ওঁকে কোর্ট অবধি নিয়ে যাব। আমি বেনিয়াপুকুরে বড় হওয়া ছেলে। ওখানে আমার ছেলেদের এক বার বললে, ওঁকে ওখানে থাকতেই দেবে না। কিন্তু আমি অঞ্জন দত্তের মতো অসভ্যতা করতে চাই না। তবে ওঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা একটা নেবই,” জানাচ্ছেন অপূর্ব সাহা।
সব মিলিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি।
টালিগঞ্জে এ বার নতুন ছবি দত্ত ভার্সেস রুদ্র-অপূর্ব।
|
|
|
|
|
|