|
|
|
|
তারাবাজি |
দেখা সোনা কেনা
দাম বাড়ছে। সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। সোনার দোকানগুলো তাই হতাশ হয়ে পড়া
ক্রেতাদের মনোরঞ্জনে নানান কৌশল নিচ্ছে। সেগুলো? হদিশ দিচ্ছেন সঙ্গীতা ঘোষ |
সোনা তো আর সয় না।
দাম সুপারসনিক গতিতে আকাশ ফুটো করে বেরিয়ে গিয়েছে বললেও বাড়াবাড়ি হবে না এতটুকু। বেড়েছে পাঁচশো শতাংশ! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। দাম দশ বছরে পাঁচ হাজার থেকে তিরিশ হাজার হলে অঙ্কটা তাই দাঁড়ায়! তাই মেয়ের বিয়েতে কী করে গয়না দেবেন, তাই নিয়ে খুব চিন্তায় পড়েছেন, তাই না?
অথচ দেখুন সোনার চকচকে চিকণ ত্বকে এতটুকুও কালি ছিটাইনি কেউ! বাতিলের তালিকায় ফেলার কথাও ভাবেনি। বলেনি, আরে সোনার কী প্রয়োজন? ইমিটেশন গয়না বা ফুলের গয়নাতেই বিয়ের কাজ সেরে নেওয়া যাক না। ভাললাগা-ভালবাসা-প্রেম-বিয়ে-ফুলশয্যা... জীবনের এই সব সুবর্ণ মুহূর্তের সঙ্গে অবধারিত ভাবে আজও, জড়িয়ে আছে সোনা, সোনার গয়না। তা সোনার মুকুট হোক, বা এক টুকরো নাকছাবিই হোক।
মেয়ের বিয়েতে একটু হলেও সোনা দেওয়া হবে না! জামাইয়ের একটা আংটি তো লাগবেই। পুত্রবধূকে নিদেনপক্ষে সোনা-বাঁধানো নোয়া। আর নাতির অন্নপ্রাশনে দিতে পারব না নিদেনপক্ষে একটা ছোট্ট আংটি! এ ছাড়াও ভাইপো-ভাইঝি-ভাগ্নে-ভাগনির বিয়ে। ছোট্ট একটা দুল বা আংটিও দিতে পারব না! এমনটি ভাবতেই আঁতকে ওঠেন এক্কেবারে ছাপোষা মানুষও। মানসম্মান জড়িয়ে রয়েছে যে!
কিন্তু সাধের সোনার দামের সঙ্গে কী করে পাল্লা দেবেন আমজনতা? তা ছাড়া আজও তো অনেকেই মনে করেন সোনা মেয়েদের একান্ত নিজস্ব সম্পদ, মেয়েদের জন্য বাবা-মায়ের শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। আপদ-বিপদে এক্কেবারে রেডি ক্যাশ। তাই বিয়েতে সোনার গয়না চাই-ই।
সুতরাং, কী উপায়? তা এই ঘোর অন্ধকারের মধ্যে সুড়ঙ্গের শেষে আলোর আভাসটুকু দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও ডিজাইনারেরা। তাঁরা বাজারে এনেছেন খুব কম সোনায় বিয়ের গয়না।
স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি বাবলু দে জানালেন, “ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ও ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে যতটা সম্ভব হালকা ওজনের গয়না গড়া হচ্ছে। ডিজাইন নিয়ে কেরামতি হচ্ছে।”
নিঃসন্দেহে।
শহরের উত্তর-মধ্য-দক্ষিণের বেশ কয়েকটি স্বর্ণবিপণি ঘুরে হাতেনাতে মিলল প্রমাণ। গোটা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা নামজাদা ব্র্যান্ডেড স্বর্ণবিপণির বৌবাজার শাখায় ৬০ থেকে ৮০ গ্রামে মিলছে বিয়ের গয়নার সেট! “এখন তো স্ট্যাম্পড পিস জুয়েলারি, ছাঁচে গড়া, তৈরি করা হচ্ছে। নেকলেসটা দেখতে চওড়া হয়। হাতের চূড়ের ক্ষেত্রে দু’পাশে দু’টি টানা সোনার লাইন দিয়ে মাঝখানটা ছাঁচে তৈরি পিসগুলি জোড়া দিয়ে দেওয়া হয়,” জানালেন এই সর্বভারতীয় অলংকার সংস্থার পূর্বাঞ্চলীয় বিপণন প্রধান দ্বৈপায়ন সেন। এ ছাড়াও ঠোকাই কাজের সঙ্গে রেজিবল, এমন নকশাও এসে গিয়েছে বাজারে। ষোলো গ্রাম ওজনের নেকলেসও বেশ ছড়িয়ে থাকবে এই নকশায়। মণিপুরি রেজি বালা, দু’টো ৩০ গ্রাম। ঝোলা দুল ৪ গ্রাম, আংটি ২.৫/৩ গ্রাম। বাউটি-চুড়ি হচ্ছে ২০ গ্রামে। একটি বালা ও একটি বাউটি-চুড়ি করলে কনের গয়না সম্ভারে বৈচিত্র আসবে। ১৬/২০ গ্রামের নেকলেস, ৩০/৩৫ গ্রামের হাতের গয়না, দুল-আংটি মিলিয়ে ৬/৭ গ্রাম। গয়নার মজুরি নিয়ে দু’লক্ষ টাকার কমবেশি হয়ে যায় দামটা।
কম ওজনের সোনার গয়নার নকশায় যিনি বিবর্তন ঘটিয়েছেন সেই অনন্যা চৌধুরী বাজারে এনেছেন ১৬ গ্রামের চিক্ কাম নেকলেস চাটাই হারের নীচে ঝালর। ছিপছিপে তন্বীর কণ্ঠহার হিসাবে দারুণ মানাবে। সোনার কারিগরের কারিগরি, সঙ্গে উন্নত মানের প্রযুক্তি, অর্থাৎ মানুষ ও মেশিনের যৌথ প্রয়াসে সম্ভব হচ্ছে এমন হালকা ওজনের গয়না। সাত-আট গ্রামে চুড়ি। মেশিন মেড। সহজে বেঁকে যাবে না। মোমের মডিউল তৈরি করে গলানো সোনা ঢেলে তৈরি হচ্ছে কাস্টিং-এর গয়না। জানালেন তরুণ উদ্যোগপতি অনর্ঘ্য চৌধুরী। যেমন, যে নোয়া-বাঁধানো হত ১০/১২ গ্রামে, তা এখন হচ্ছে ৬ গ্রামে। চুড়িটা ৩ গ্রাম, মুখটা ৩ গ্রাম। মকরমুখ, মকর ও বল সংযুক্ত মুখ বা অন্য কিছু।
বাবলু দে-র সংযোজনা, ব্রোঞ্জের উপর নিখাদ সোনার পাত ক্লিপ দিয়ে লাগিয়ে ৪ গ্রামে চূড় তৈরি হচ্ছে। পাতটা ডিট্যাচেবল। ১১/১২ গ্রামেও নেকলেস হচ্ছে! সরু চেনে সেন্টার পিসটা ছড়ানো।
আরও চমক বাকি ছিল। এক ঐতিহ্যময় স্বর্ণবিপণিতে ৬ গ্রামে হার! বর্ণময় ট্যাসেলের সঙ্গে কারুকাজ করা সেন্টার পিস। মেয়েকে তো শ্বশুরবাড়িতে নিরাভরণ পাঠানো যায় না। আর ১৮ থেকে ২০ হাজারে গলার গয়না হয়ে গেল। (এই প্রতিবেদন প্রেসে যাওয়ার সময় সোনার মূল্যের হিসাব অনুসারে)। আর হালকা গয়নাও বৈচিত্রময় করে তুলছেন ডিজাইনাররা। গয়নার উপর স্প্রে মিনে হচ্ছে। সরু চেন এসে গলার মাঝখানে ছড়িয়ে যাচ্ছে জ্যামিতিক নকশায়, ফুল-লতা-পাতায়, ঝালরে। ইদানীং ঝুমকো আবার ‘ইন থিং’, তবে নিঃসন্দেহে হালকা ওজনে। জানালেন ভবানীপুরের এক বনেদি স্বর্ণসংস্থার ম্যানেজার স্নেহময় কর। যে কোনও আকৃতির মুখমণ্ডলের সঙ্গে মানিয়ে যায় ঝুমকো।
কম সোনায় পকেট-ফ্রেন্ডলি গয়না দিয়ে না হয় কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার ‘স্বর্ণদায়’ মিটল। কিন্তু কারুকাজ করা শাড়ি, সাধারণত জরির বেনারসি, ফুলের আভরণ, চন্দনচর্চিত কনেসজ্জা এত জমকালো সাজের সঙ্গে একটি হালকা নেকলেস, দু’টি সরু চূড় বা গালা ভরা বালা, একটি আংটি ও ছোট ঝুমকো বা ছোট ঝোলা দুল। সাজটা কেমন অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে গেল না? যেমন, টিকলি, একটা ঝোলা হার বা চিক, চুড়ি/চূড়, একটু বড় মাপের একটা আংটি কনের সাজে এই গয়নাগুলি যোগ হলে এক্কেবারে একশোয় একশো।
নতুন করে চিন্তা হচ্ছে? কেউ আপনাকে মাথার দিব্যি দেয়নি যে গয়নাগুলো সোনারই হতে হবে। কনে সাজানোয় পারদর্শী অনিরুদ্ধ চাকলাদার, নবীন দাস থেকে ফিল্ম এডিটিংয়ের ছাত্রী অন্নপূর্ণা বসু মনে করেন কস্টিউম জুয়েলারি দিয়ে সাজটা অনায়াসেই সম্পূর্ণ করা যায়। অনিরুদ্ধ তো খোলাখুলিই জানালেন, এই ক’দিন আগেই ৮০ হাজার টাকার সোনার গয়নায় তিনি কনে সাজিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল কস্টিউম জুয়েলারি। তবে হ্যাঁ, সোনা ও কস্টিউমের মধ্যে অনুপাতটা ঠিক থাকতে হবে। কস্টিউম যেন সোনার পরিপূরক হয়। চোখ ধাঁধানো না হয়। আর লক্ষ করুন, নামকরা স্বর্ণপ্রতিষ্ঠানও সোনার গয়নার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কস্টিউম জুয়েলারির ব্যবসা করছে। অনর্ঘ্য চৌধুরীর বক্তব্য, “মানুষ ফ্যাশন পছন্দ করেন। কস্টিউম জুয়েলারি সাধ্যের মধ্যে সাধ পূরণ করে। কলেজের ছাত্রীও তাঁর ইচ্ছে মতো কিনতে পারেন।”
আর আজকের দিনের শিক্ষিতা, রোজগেরে, প্রকৃত অর্থে যারা ‘সোনার মেয়ে’, তাঁরা কিন্তু তাঁদের বাবা-মা মাথা থেকে পা পর্যন্ত সোনায় মুড়ে দেবেন, এমন চিন্তা ভুলেও করেন না। যুগ যুগ ধরে চলে আসা সোনার গয়নাকে যেমন তাঁরা পুরোপুরি বর্জন করছেন না, তেমনি গা ভরা সোনার গয়না না পরলে কনে বৌ হিসাবে রূপ খুলবে না তেমনটিও একেবারেই ভাবছেন না। আই টি ইঞ্জিনিয়ার মালিনী সরকার তো আইবুড়ো ভাতে শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং করা কস্টিউম জুয়েলারি পরেছিলেন। মালিনীর বক্তব্য, “গয়না ভাল লাগে। তবে রোজগারের টাকায় আগে ফ্ল্যাটের কথা ভাবব, যাতায়াতে সুবিধার জন্য গাড়ি কেনার চেষ্টা করব। আর মায়ের গলায় বড়শি দিয়ে গয়না নেওয়া, ছিঃ!”
অন্নপূর্ণা স্পষ্টই জানালেন, ‘‘সোনার রং নিঃসন্দেহে ভারতীয় ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই। কিন্তু সোনাই পরতে হবে এমন তো কোনও মানে নেই। গোল্ড প্লেটেড বা সোনার রঙের গয়নাও তো পরা যায়। তবে বিনিয়োগ হিসাবে সোনার বিস্কুটের বা কয়েনের কথা ভাবা যেতে পারে।”
অর্থনীতির ছাত্রী শ্রমণা গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “কস্টিউমে কত বৈচিত্র বলুন তো! বিয়েবাড়ির সাজের সঙ্গে প্রচুর ভারী সোনা না পরলে মানায় না। সেটা কি সম্ভব? মা-বাবা কত খরচা করে লেখাপড়া শেখাচ্ছেন, আবার গয়নার প্রেশারটাও নেবেন?”
তবে এই মেয়েদের মায়েদের প্রজন্মের চিন্তাধারা কিন্তু একটু আলাদা। চিকিৎসক সুতপা গঙ্গোপাধ্যায়, সরকারি চাকুরে বাণী ভট্টাচার্য বা গৃহবধূ বনানী মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, তাঁরা নিজেদের সব গয়না দিয়ে দেবেন। প্রয়োজনে সাধমতো কিছু গয়না গড়িয়েও দেবেন।
তবে একটা কথা কিন্তু ঘুরে ফিরে আসে। সোনার গয়না হচ্ছে সম্পদ। মেয়েদের একান্ত নিজস্ব সম্পদ। ঠাকুমার আমল থেকে প্রচলিত এই ধারণা অবশ্যই ফিকে হয়েছে, কিন্তু বিলীন হয়ে যায়নি।
মালিনী বা অন্নপূর্ণা বা শ্রমণা, বা এই প্রতিবেদনের জন্য কথা বলা বেশ কিছু তরুণী কিন্তু অন্য রকম ভাবছেন। তাঁদের বক্তব্য, পারিবারিক গয়নার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আবেগ, প্রচণ্ড রকমের আবেগ। প্রয়াত দিদিমার গলার নেকলেস, সেটা বিক্রি করতে কতটা কষ্ট হবে বলুন তো! গয়না মানেই স্মৃতি, জীবনের বিভিন্ন ভাললাগার মুহূর্তের চিহ্ন। আর দেওয়ালে পিঠ না ঠেকলে কেউ কি এই গয়না বিক্রির কথা ভাবে? তাই সম্পদ হিসাবে সোনাকে দেখতে গেলে সোনার মুদ্রা, বার, বিস্কুট বা গোল্ড ইটিএফ, গোল্ড ফান্ডে বিনিয়োগ করাই ভাল।
কী ভাবছেন তরুণ প্রজন্মের পুরুষেরা? কেমন লাগবে তাদের সোনা+কস্টিউম জুয়েলারি বা শুধুই কস্টিউম জুয়েলারি পরা বধূটিকে? “মেয়ে কেমন কোয়ালিটির সেটাই তো ব্যাপার,” বক্তব্য নববিবাহিত অভিরূপ আচার্যের।
দুর্দান্ত।
আগামী দিনে আমাদের ঘরের মেয়েরাই না হয় ‘সোনা’ হয়ে উঠুক!
|
টিপস |
• থাকার চেষ্টা করুন ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায়। নির্জন জায়গা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
• থাকার আগে খোঁজখবর নিয়ে রাখতে হবে জায়গাটা সম্পর্কে। হোটেল হোক কী রিসর্ট, বিপদ আসতে পারে নানা ভাবে।
• লোকাল পুলিশ স্টেশনের নম্বর নিয়ে রাখুন। বেড়ানোর আনন্দে অনেকেই ভুলে যান এই অত্যন্ত জরুরি জিনিসটা।
• সঙ্গে রাখুন প্রয়োজনীয় ওষুধ, শুকনো খাবার। জঙ্গলে গেলে কাজে লাগে খুব।
• রাত নামার আগেই হোটেলে ফেরা উচিত। অপরিচিত জায়গায় গাড়ির অচেনা ড্রাইভারও বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। |
|
সোনা সোনাই
অনেক ওঠাপড়ার পরে সোনার দাম আকাশচুম্বী হয়ে এখন অনেকটা স্থির। তাই এখন সোনা কিনে রাখা ভাল বলে মনে করেন তিন প্রজন্মের ভারী গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থার যুগ্ম ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রশান্ত চন্দ্র। ইদানীং দাম প্রতি বছর বেড়েছে। সোনায় লগ্নি কখনওই লোকসানের নয় বলে মনে করেন তিনি।
লক্ষ করুন, বিয়ের মরসুম চলছে, তবুও দাম কিন্তু বাড়ছে না।
বিনিয়োগের মাধ্যম হিসাবে সোনা ইদানীং খুবই জনপ্রিয়। তরুণ প্রজন্ম মনে করেন, গয়না নয়, মুদ্রা, বার বা বিস্কুটে বিনিয়োগ করা চলতে পারে। তাঁদের মতকে পুরোপুরি সমর্থন করলেন বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ অমিতাভ গুহ সরকার। পাশাপাশি তাঁর পরামর্শ, গোল্ড ইটিএফ বা গোল্ড ফান্ডে বিনিয়োগও যথেষ্ট বিবেচনার কাজ হবে। গোল্ড ইটিএফ স্টক মার্কেটে কেনাবেচা হয়। ইটিএফের টাকাটা সরাসরি সোনায় বিনিয়োগ করা হয়। এক গ্রাম সোনার সঙ্গে ইটিএফের দাম ওঠাপড়া করে। এটি করতে গেলে ডি ম্যাট অ্যাকাউন্ট লাগবে। অন্যান্য শেয়ার কেনাবেচার মতো শেয়ার ট্রেডারদের মাধ্যমে ট্রেডিং হবে।
গোল্ড ফান্ড অন্য যে কোনও মিউচুয়াল ফান্ডের মতো। টাকাটা গোল্ড ইটিএফে বিনিয়োগ করা হয়। বিনিয়োগের জন্য মিউচুয়াল ফান্ডের এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
অমিতাভবাবু আরও জানালেন, আগে গয়নার আকারে ব্যাঙ্কের লকারে সোনা ঢুকে যেত। সহজে বিক্রি করা হত না। এখন সোনাকে শুধু গয়না হিসাবে না দেখে বিনিয়োগের মাধ্যম হিসাবেও দেখা হচ্ছে। সোনা যেমন কেনা হচ্ছে, বিক্রিও হচ্ছে। ফলে বাজারে দামটাও ওঠাপড়া করছে।
আর ইদানীং সোনার আমদানি শুল্ক বেড়ে ৬% হয়েছে।
এই মুহূর্তে দাম না বাড়লেও, সুদূর ভবিষ্যতে সোনার দাম বাড়বে না, এমন গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবেন না বলে মনে করেন অমিতাভবাবু। আর এই বিশ্বে যখনই কোনও বিপর্যয় হয়েছে বা শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে, তখনই সোনার দাম বেড়েছে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় সোনার দাম বাড়ে। তাই সোনা কেনা কখনওই লোকসানের নয়।
|
ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল |
|
|
|
|
|