|
|
|
|
কুয়োর ভেতর পড়লেন বব
পরিচালক অমিত সেনের নতুন ছবি। এমনই নানা কিছু ঘটবে। লিখছেন প্রিয়াঙ্কা |
পাঁচ বছরের প্রিন্সকে মনে আছে?
সেই ছোট্ট ছেলেটা, যে শাহআবাদের বিশাল খোলা মুখ পাতকুয়োর ভেতর পড়ে গিয়েছিল? ছোট্ট প্রিন্স প্রায় ৪৮ ঘণ্টা আটকে ছিল ওই কুয়োর ভেতর। আর ওর সেই করুণ পরিস্থিতি টেলিভিশনের মাধ্যমে লাইভ সম্প্রচারিত হয়েছিল গোটা দেশে। যতক্ষণ না সৈন্য আর দমকলের যৌথ বাহিনী ওকে উদ্ধার করে ওই কুয়ো থেকে।
কাট টু টলিউড। না, প্রিন্সের ঘটনা বড় পর্দায় দেখানো হচ্ছে না।
কিন্তু পরিচালক অমিত সেনের দ্বিতীয় ছায়াছবি ‘গর্ত’-তে অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় যে চরিত্রটিতে অভিনয় করছেন, তা মনে করিয়ে দেবে প্রিন্সের কথা। শাশ্বতর অভিনীত প্রধান চরিত্রটি কুয়োর ভেতর পড়ে যায়। এর পর যা ঘটে সেটাই কিন্তু ছবির মূল উপজীব্য।
এপ্রিল মাসে বীরভূমের একটি গ্রামে শু্যটিং শুরু হবে সিনেমাটার। ছবিটির ব্যাপারে বলতে গিয়ে অমিত বললেন, “প্রচেত গুপ্তর একটা গল্প অবলম্বনে তৈরি ছবিটি। এটি একটি ব্যঙ্গাত্মক সমাজচিত্র। শাশ্বতর চরিত্রের নাম হরিপদ। এক মদ্যপের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। চরিত্রটি কোনও কাজ করে না। তার বৌ ভীষণ সেক্সি। আর তার ওপরেই নজর পড়ে গ্রামের এক ব্যবসায়ীর।”
একদিন মদ্যপ অবস্থাতেই একটা ইঁদারাতে পড়ে যান হরিপদ। আর তার পর শুরু হয় অন্য নাটক। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। ওই ব্যবসায়ীও দাঁড়াবেন নির্বাচনে। তাঁর মনে পড়ে যায় কী ভাবে প্রিন্স কুয়োতে পড়ে যাওয়ার পরে তাকে বাঁচানোর গল্পটা প্রচার করা হয় মিডিয়াতে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভাবতে শুরু করেন, কী ভাবে হরিপদকে ইঁদারা থেকে উদ্ধার করার চেষ্টাটাও তাঁকে নির্বাচনী দৌড়ে মাইলেজ দিতে পারে।
শাশ্বতর বৌয়ের চরিত্রে যিনি অভিনয় করবেন সেই নায়িকার খোঁজ চলছে এখনও। ব্যবসায়ীর চরিত্রটি করছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। “যখন কুয়ো থেকে তাঁকে উদ্ধার করার সব জোগাড়যন্ত্র শেষ, হরিপদ বেঁকে বসে বলে যে সে আর ইঁদারা থেকে বেরোতে চায় না। প্রচেত, বরুণ চট্টোপাধ্যায় আর আমি মিলে লিখেছি চিত্রনাট্যটা,’’ বলেন অমিত। সঙ্গীত পরিচালনা করছেন দেবজ্যোতি মিশ্র। শ্রীজাত রয়েছেন গান বাঁধার দায়িত্বে।
অমিত চেয়েছিলেন ‘হ য ব র ল’-কে নিয়ে টলিউডে সিনেমা বানাতে। কী হল তাঁর সেই উচ্চাশার? “ওটা হতে অনেক সময় লাগবে। ওটার প্রি-প্রোডাকশনের কাজটা সমান্তরাল ভাবেই চলছে। এখন শ্রুতিনাটকটা রেকর্ড করছি। তার পর শুরু হবে গল্প তৈরির কাজ। গত মাসে লস অ্যাঞ্জেলেসে অ্যানিমেশন নিয়ে একটা ওয়ার্কশপ করতে গিয়েছিলাম। ওখানেই শিখে এসেছি অভিনেতাদের কী ভাবে অ্যানিমেশনের কাজে ব্যবহার করতে হয়। এর পর যাচ্ছি লন্ডনে। হিজিবিজবিজের মুখোশটা কী ভাবে প্রসথেটিক্স দিয়ে তৈরি করা হবে সেটাই শিখতে,” বললেন অমিত। |
|
|
|
|
|