ইংরেজবাজারে উপনিবার্চন
মনোনয়ন দিল কংগ্রেস-তৃণমূল
নিখান চৌধুরীর মূর্তিতে মালা দিয়ে ইংরেজবাজার বিধানসভা উপনিবার্চনে মনোনয়ন জমা দিলেন কংগ্রেস এবং তৃণমূল দু’ দলের প্রার্থীই। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী এবং কংগ্রেস প্রার্থী নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি দু’ জনেই। সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে কৃষ্ণেন্দুবাবু বৃন্দাবনী মাঠ লাগোয়া গনিখানের মূর্তি মালা দেন। অন্য জন মালা দেন রথবাড়ি এলাকায় গনিখানের মূর্তিতে। মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরিয়ে উভয়েই নিজেদের জয় নিয়ে আশাবাদী বলে জানান।
মনোনয়ন জমার দিনই দলের এক জেলা নেতা এবং তাঁর অনুগামীরা কেউ উপস্থিত না থাকার বিষয়টি গোষ্ঠী কোন্দলের জের বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন। তাতে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। এ দিন কৃষ্ণেন্দুবাবুর পাশে সকাল থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া পর্যন্ত সারাক্ষণ ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজ কল্যান মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র-সহ কয়েক হাজার কর্মীসমর্থক। তবে দেখা যায়নি দলের জেলা নেতৃত্বের অন্যতম ওই নেতা এবং তাঁর অনুগামীদের। তাঁর স্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী এবং তাঁর অনুগামীরাও ছিলেন না। তাতে চটেছেন বেজায় চটেছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। মনোনয়ন জমা দিয়ে নিজের পার্টি অফিসে ফিরে আসার পর তাঁর অনুগামীরা দলের সবর্ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কে ওই নেতার বিরুদ্ধে নালিশ জানান। পরে ক্ষোভ সামলে কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “আজ সকালে মনোয়ন জমা দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান। মালদহের মানুষের আশীর্বাদে জয় নিয়ে আশাবাদী।”
তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের অন্যতম ওই নেতা এবং তাঁর অনুগামীরা মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় কেন ছিলেন না? জবাবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, “কাল ওই নেতার শাশুড়ি মারা গিয়েছেন। সে জন্য আসতে পারেননি।” জেলা সভাপতি যাই বলুন না কেন উপনির্বাচনে কৃষ্ণেন্দুবাবুর হয়ে ওই নেতাকে এখনও প্রচারে কোথাও দেখা যায়নি। অথচ নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকেই তৃণমূল জেলা সভাপতি এবং অন্যরা গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার শুরু করে করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের ইংরেজবাজার শহর সভাপতি দেবপ্রিয় সাহা সরাসরি অভিযোগ করেছেন, দলের ওই নেতা এবং তাঁর অনুগামীরা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে হারাতে কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন। দলের রাজ্যে নেতৃত্বকে আমরা সব জানিয়েছেন।”
গোষ্ঠী কোন্দলে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর পাশে যখন দলের একাংশ নেই তখন কংগ্রেস প্রার্থীর পাশে অবশ্য তাঁদের জেলা নেতৃত্ব সকলেই রয়েছেন। এদিন সকাল থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আবু নাসের খান চৌধুরী, সাবিনা ইয়াসমিন, চাঁচলের বিধায়ক আসিফ মেহেবুব-সহ কয়েক হাজার কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক নরেন্দ্রনাথবাবুর পাশে ছিলেন। নরেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “মালদহের মাটি কংগ্রেসের মাটি। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের জায়গা নেই। কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই হবে সিপিএমের। আমি তাই আশাবাদী।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী জানান, গনিখানের নাম ভাঙিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জিততে চাইছে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র দাবি করেন, মালদহে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি অনেক বেড়েছে। তাঁরা গনিখানকে মন থেকে ভালবাসেন। গনিখানের আর্দশকে হাতিয়ার করে তাঁর অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে চান।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.