আবেদনকারী সমস্ত পড়ুয়াকে ভর্তি নেওয়ার দাবিতে স্কুলগেটে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ জিএসএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এদিন শতাধিক অভিভাবক প্রধান শিক্ষিকাকে প্রায় একঘন্টা ঘেরাও করে রাখেন। পর ওই স্কুলের গেটে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখান। স্কুলের ভেতরে দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়েন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। পরে অভিভাবকেরা স্কুল সংলগ্ন শহরের রাজ্য সড়ক এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন। পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ওই স্কুলে প্রায় ৩০০টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে বর্তমানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে ৪৭ জন করে পড়ুয়া রয়েছে। গত ২৬ থেকে ২৮ জানুয়ারি স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে চারটি শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ফর্ম বিলি ও জমা নেওয়ার কাজ চলে। মোট ৫৩১ জন পড়ুয়া চারটি শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গত শনিবার স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ৮৬ জন ও চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ১২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেন। আগামী শুক্রবার থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। এদিন অভিভাবকেরা সেই তালিকা দেখেই ক্ষোভে আন্দোলনে নামেন। |
আন্দোলনকারীদের তরফে সঞ্জয় মাহাতো বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে আবেদনকারী কোনও পড়ুয়াকে ভর্তি নেবেন না বলে জানিয়েছেন। প্রথম ও চতুর্থ শ্রেণিতেও এখনও বহু পড়ুয়া ভর্তির সুযোগ পায়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ যদিই দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে কোনও পড়ুয়াকে ভর্তি না নেন তাহলে ওই দুই শ্রেণিতে ভর্তির ফরম বিলি করেছিলেন কেন? অবিলম্বে আবেদনকারী সমস্ত পড়ুয়াকে ভর্তি নেওয়া না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল অচল করে আন্দোলনে নামা হবে।”
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের পাশেই রয়েছে রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুল। শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী সংলগ্ন হাইস্কুলেই সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেই কারণে এ বছর ওই প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়াদের ভর্তির চাপ অন্যান্য বারের তুলনায় অনেক বেশি। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কমলা মুখোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “শিক্ষার অধিকার আইন মেনেই স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই নিয়ে এর চাইতে বেশি কিছু বলতে চাই না। ভর্তি সমস্যার সমাধানে আজ মঙ্গলবার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন কর্তারা স্কুল ও অভিভাবকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করবেন।” |