নথিভুক্ত ক্লাবের সংখ্যা ৪৮। তবুও ন্যূনতম চারটি দল না জোটায় চলতি বছরে নবদ্বীপ আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত স্থানীয় ক্রিকেট লিগের সাব-জুনিয়র বিভাগের খেলা বন্ধ হয়ে গেল।
সাবজুনিয়র বিভাগ বাদ দিয়ে জুনিয়র বিভাগের লিগ অবশ্য শুরু হয়েছে।
সাবজুনিয়র লিগ বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে সংস্থার ক্রিকেট সম্পাদক জয়ন্ত গোস্বামী বলেন, “নদিয়া ক্রিকেট ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের নিয়ম হল, অন্তত চারটি দল খেললে তবেই লিগ হবে। এ বারে অনূর্ধ্ব ১৬ বিভাগে মাত্র দুটি দল নাম নথিভুক্ত করিয়েছিল। তাই সাব-জুনিয়র লিগ হল না।’’
অথচ চলতি মরসুমে জুনিয়র বিভাগ বা অনূর্ধ্ব ১৯ বিভাগে ১২টি ক্লাব নাম নথিভুক্ত করিয়েছে। দ্বিতীয় ডিভিশনে ৩টি ক্লাব এবং প্রথম ডিভিশনে ৯টি ক্লাব নাম নথিভুক্ত করিয়েছে। তা হলে সাব-জুনিয়র বিভাগে এই হাল কেন?
ক্লাবকর্তা থেকে ক্রীড়াসংস্থার প্রশাসক সকলেই কাঠগড়ায় তুলছেন অভিভাবকদের। জয়ন্ত গোস্বামী বলেন, “কখনও পরীক্ষা, কখনও প্রাইভেট টিউশন, কখনও বা স্কুলনানা কারণ দেখিয়ে অনূর্ধ্ব ১৬ ছেলেদের মাঠে আসতে দেন না। ফলে বহু ক্লাবই টিম তৈরি করতে পারে না।”
নবদ্বীপ আজাদ হিন্দ ক্লাবের প্রশিক্ষক সুব্রত দত্ত বলেন, “খেলাধুলোর শুরুতেই অভিভাবকেরা মাধ্যমিকের জুজু দেখিয়ে ছেলেদের মাঠ থেকে দূরে রাখেন। পরে যখন মাধ্যমিক শেষ করে তারা মাঠে আসেতখন শেখায় অনেকটাই ফাঁক থেকে যায়। ফলে খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে তারা অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে।” নবদ্বীপ রুর্যাল স্পোর্টিংয়ের সদস্য এবং নদিয়া ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সমিতির সদস্য লালু ভুঁইয়া বলেন, “অভিভাবকদের কথা ক্রিকেট খেলে চাকরির নিশ্চয়তা দিতে পারবেন কি?” নবদ্বীপ অগ্রদ্বীপ ক্রীড়া সংস্থার প্রাক্তন সম্পাদক এবং নদিয়া ক্লাবের কর্তা গোবিন্দ বাগ অবশ্য বলেন, “বিভিন্ন ক্লাবের পরিকাঠামোরও অভাব আছে। সব দোষ অভিভাবকদের নয়। নিজেদের দিকটাও ভাবতে হবে।” |