মাস্টার প্ল্যান দূর অস্ৎ ঘাটালে |
চাতালে উড়ালপুল তৈরির উদ্যোগ ফের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
ঘাটাল মানেই বন্যা। প্রতি বছরই জলে ভাসে ঘাটাল শহর। বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য মাস্টারপ্ল্যান একটা রয়েছে। কিন্তু কবে তা কার্যকরী কবে হবে জানা নেই কারও। মাস্টার প্ল্যানের ভরসায় না থেকে তাই চাতালের উপর উড়ালপুল তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে এক নম্বর চাতালে তৈরি হয়েছে একটি উড়ালপুল। এ বার ঘাটাল শহরের দুই নম্বর চাতালের (কজওয়ে) উপর উড়ালপুল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হল। |
|
এখানেই হবে উড়ালপুল। —নিজস্ব চিত্র। |
প্রায় তিন দশক ধরে মাস্টারপ্ল্যানকে হাতিয়ার করে ভোট বৈতরণী পার হয়েছেন ঘাটালের রাজনৈতিক নেতারা। গত বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘাটালের শিমুলিয়ায় প্রচারে এসে মাস্টারপ্ল্যানকে কাযর্করী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দু’বছর পার হয়ে গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে দুর্ভোগ ঘোচেনি ঘাটালবাসীর। ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের উপর ঘাটালে তিনটি এবং চন্দ্রকোনায় তিনটি চাতাল (কজওয়ে) রয়েছে। এর মধ্যে চন্দ্রকোনার চাতালগুলিতে জল বেশিদিন না থাকলেও ঘাটালের তিনটি চাতাল দিনের পর দিন জলের দখলে চলে যায়। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন পরিবহণ। সমস্যায় পড়েন হাজার হাজার মানুষ। সেই সময় নৌকাই ভরসা।দুই নম্বর চাতালে উড়ালপুর তৈরি হলে বন্যার সময় মহকুমার মানুষ আর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন না। ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, “আমি নিজে মুখ্যমন্ত্রীকে সমস্যার কথা বলেছি। তাঁর উদ্যোগেই দু’নম্বর চাতালের উপর উড়ালপুলটি অনুমোদন পেতে চলেছে। দ্রুত টাকা বরাদ্দ হয়ে যাবে।” নতুন সেতুর ঘোষণায় খুশি ঘাটাল শহর-সহ মহকুমার বাসিন্দারা। পূর্ত দফতরের ডিগরি সাব-ডিভিসনের সহকারি বাস্তুকার দীপঙ্কর জানা বলেন, “আমাকে ডিপিআর তৈরি করে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মাস দেড়েক আগেই আমি তা পাঠিয়ে দিয়েছি।” দফতরের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নিবার্হী বাস্তুকার শ্যামল পতিহার বলেন, “ঘাটাল শহরে দুই নম্বর কজওয়ের উপর উড়ালপুলটি এখন অনুমোদনের অপেক্ষায়। দ্রুত অনুমোদনও হয়ে যাবে।” |
|