|
|
|
|
১২ই বিশ্ববিদ্যালয় অভিযান |
কলেজে কলেজে নৈরাজ্য, পথে নামছে এসএফআই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজ্যে পালাবদলের পর জেলা জুড়েই কলেজ ক্যাম্পাসের ছবিটা বদলেছে। আগে যে যেখানে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল এসএফআইয়ের, এখন সেখানে পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি কলেজের ছাত্র সংসদও তাদের দখলে নেই। অধিকাংশেরই দখল নিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। হাতছাড়া হয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদও। এসএফআইয়ের এই ‘দুর্বল’ মুহূর্তে আবার সংগঠনের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ও মাথাচাড়া দিচ্ছে। এই সব সামলাতে আরও বেশি কর্মসূচির উপর জোর দিচ্ছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন।
আপাতত আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ববিদ্যালয় চলো’র ডাক দিয়েছে তারা। ওই দিন মেদিনীপুর থেকে মিছিল শুরু হয়ে পৌঁছবে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনে। দুপুুরে সেখানে হবে সভা। থাকবেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। তার আগে ছাত্রছাত্রীদের সংগঠিত করতেই এই কর্মসূচি বলে সংগঠন সূত্রে খবর। যদিও এসএফআই নেতৃত্ব প্রকাশ্যে তা মানছেন না। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সৌগত পন্ডা বলেন, “সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে। এটা তারই একটি।” ‘বিশ্ববিদ্যালয় চলো’র ডাক কেন? ওই ছাত্র নেতার কথায়, “আমরা বেশ কিছু দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হচ্ছি। উপাচার্য ছাড়াও ওই দিন আমরা জেলাশাসককে দাবিপত্র দেব।” কলেজ ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ, পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরানো, সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করা, ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের নম্বর মার্কশিটে উল্লেখ করা-সহ নানা দাবিতে এই কর্মসূচি। সৌগতর মতে, “শিক্ষাক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য চলছে। শিক্ষকদের উপর হামলা হচ্ছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রী আক্রান্ত হচ্ছেন। আমাদের প্রতিবাদ এখানেই।” সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “এখন দখলদারির রাজনীতি চলছে। জয় করার বদলে ছাত্র সংসদ দখল করা হচ্ছে। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে সংসদ এসএফআইয়ের দখলেই থাকত।” |
|
|
|
|
|