উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করা চলবে না কোনও মতেই। আগামী শনিবারের ডার্বির আগে এমনটাই নির্দেশ প্রশাসনের। কিন্তু সেই নির্দেশ উড়িয়ে বাকযুদ্ধ চলছেই দুই প্রধানের।
বড় ম্যাচের আগে আইনশৃঙ্খলা খতিয়ে দেখতে এ দিন মহাকরণে দু’প্রধানের কর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। ৯ ডিসেম্বরের কলঙ্কিত ডার্বির পরিবেশ যেন না ফিরে আসে সে জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয় প্রশাসনের তরফে। বৈঠকে হাজির ছিলেন মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র এবং ইস্টবেঙ্গলের প্রতিনিধি স্বপন বল। ছিলেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। বৈঠকের পর ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “দু’পক্ষকেই বলেছি মাঠে শান্তির পরিবেশ যেন বজায় থাকে। কর্তাদের জন্য মাঠের বাইরে ঝামেলার পরিবেশ যেন না হয়।” |
এই আবেদনের ঘণ্টাখানেক পরেই যুবভারতীতে ম্যাচ জিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মোহনবাগানের অর্থ-সচিব দেবাশিস দত্ত। টোলগের মোবাইলের কল লিস্ট প্রচারমাধ্যমের সামনে পেশ করে বলেন, টোলগেকে প্রথম ফোন করেছিলেন লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার। যে কোনও কারণেই হোক টোলগে তখন তা ধরতে পারেননি। পরে ‘মিস্ড কল’ দেখে সৌজন্যবশত ফোন করেন। দেবাশিস আরও বলেন, “বড় ম্যাচের আগে এ ভাবেই মোহনবাগানের ফুটবলারদের মনসংযোগ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে গোল করার পরে টোলগের কাছে ফোন আসেনি কেন?”
যা শুনে মুম্বই থেকে দেবব্রতবাবু বললেন, “আগের দিনও বলেছিলাম, আজও বলছি, টোলগে-সহ ভারতের অনেক ফুটবলারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়। দিন পনেরো আগেও কথা হল টোলগের সঙ্গে। ও আমার ‘মিস্ড কল’-এ সৌজন্য দেখিয়ে ‘কল ব্যাক’ করায় সেটাই প্রমাণিত হল।” তাঁর আরও সংযোজন, “বিরক্ত করা নয়। এটা সৌজন্য। সেটাকেই অপপ্রচার করে বড় ম্যাচের আগে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে কেউ কেউ। যা কাম্য নয়।”
এরই মাঝে বড় ম্যাচে ইচ্ছে করে ঝামেলা পাকানো হতে পারে বলে বিধাননগর কমিশনারেটে এফআইআর করল মোহনবাগান। আজ মঙ্গলবার পুলিশ যুবভারতীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবে। দুই প্রধানের দুই শীর্ষকর্তার বাকযুদ্ধের মাঝেই মঙ্গলবার কল্যাণীতে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে ইস্টার্ন রেলের বিরুদ্ধে নামছে ইস্টবেঙ্গল। বড় ম্যাচের আগে দলের খুঁটিনাটি দেখে নেওয়ার জন্য এটাই শেষ সুযোগ মর্গ্যানের কাছে। রেল দলের বিরুদ্ধে চিডিকে বিশ্রাম দিচ্ছেন লাল-হলুদ কোচ। তবে তিন বিদেশি বরিসিচ, পেন এবং ওপারা শুরু করবেন প্রথম থেকেই। এরই মাঝে সোমবার কলকাতা লিগের সুপার নাইনের নতুন সূচি প্রকাশ করল আইএফএ। সূচি অনুযায়ী, ১২ ফেব্রুয়ারি মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামছে হোসে রামিরেজ ব্যারেটোর ভবানীপুর। যুবভারতীর কর্তারা এ দিনই জানিয়েছেন, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে চোদ্দ দিনের জন্য আলো সংষ্কারের কাজ চলায় পাওয়া যাবে না স্টেডিয়াম। |