নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
দ্বারকেশ্বর নদীর জলভর্তি বালিখাদ থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির দেহ। পুলিশ জানায়, উত্তম মালিক (৪২) নামে আরামবাগের সুজলপুরের ওই বাসিন্দা দিন দু’য়েক আগে নিখোঁজ হয়ে যান। স্থানীয় শ্মশানে গিয়ে মদ খেয়েছিলেন তিনি। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বিষমদেই মারা গিয়েছেন তিনি। দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। তারা জানায়, বিষমদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ভিসেরা পাঠানো হচ্ছে কলকাতায়। সুজলপুরের পাশের গ্রাম দৌলতপুরের বাসিন্দা তুফান মাজি (৪৫) রবিবার মদ্যপানের পরে অসুস্থ হয়ে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। রাতে মারা যান তিনিও। বিষমদে তাঁরও মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠায় দেহের নমুনা কলকাতায় ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এ দিকে, পর পর দু’জনের মৃত্যুতে উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকার বেআইনি মদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন স্থানীয় মানুষ। কয়েকটি চোলাই মদের ভাটি ভেঙেও দেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, চোলাইয়ে নেশা বাড়াতে কীটনাশক মেশানো হচ্ছে। তা থেকেই এই বিপত্তি। চোলাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছে আবগারি দফতর।
|
ভদ্রেশ্বরে শ্রমিকদের অনশন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
অনশন মঞ্চ। —নিজস্ব চিত্র। |
প্রায় ছ’বছর ধরে বন্ধ একটি কারখানা খুলতে সরকারি পদক্ষেপ চেয়ে তিন দিন অনশন করলেন পাঁচ শ্রমিক। সোমবার রাজ্য শ্রম দফতর থেকে বিষয়টি নিয়ে শ্রমিকদের আলোচনায় ডাকায় তাঁরা অনশন তুলে নেন। ভদ্রেশ্বরে দিল্লি রোডের ধারে ওই কারখানাটির নাম পশুপতি শিয়ং। কারখানার গেটেই সেখানকার পাঁচ শ্রমিক অনশনে বসেছিলেন। একই দাবিতে বিভিন্ন সময় শ্রমিকেরা সেখানেআন্দোলন করছেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ করলে কারখানাটি নিশ্চয়ই এত দিনে খুলে যেত। ওই কারখানার সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আভাষ মুন্সি বলেন, “রাজ্য সরকার ডেকেছেন। আপাতত অনশন তুলছেন শ্রমিকেরা। এতে কাজ না হলে, ফের আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।”
|
সোমবার দুপুরে আরামবাগ লিঙ্ক রোডে ট্রাক চাপা পড়ে মারা গেলেন এক সাইকেল আরোহী। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম ধুর্জটি দত্ত (৪৩)। বাড়ি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুপাড়ায়। একটি মোটর বাইকের সঙ্গে সাইকেলের ধাক্কা লাগে। রাস্তায় পড়ে গেলে পিছন থেকে একটি ট্রাক তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়।
|
পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে উত্তেজনা |
দলীয় কর্মী-সমর্থকেরাই দুর্নীতি এবং তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন হুগলি-চুঁচড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূূল কাউন্সিলর সুনীল মালাকারের বিরুদ্ধে। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে পোস্টারও পড়ে। সোমবার দেখা যায়, বহু পোস্টারই ছেঁড়া। এতে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ আসে। সুনীলবাবু অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। |