কোর্টে ১০ কোটি রাখলে ডানলপের আর্জি বিবেচনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পাওনাদার ও শ্রমিকদের প্রাপ্য মেটানোর জন্য ডানলপে লিকুইডেটর নিয়োগের রায়ের উপরে সংস্থা-কর্তৃপক্ষ স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন। ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার জানিয়ে দিয়েছে, আগে ডানলপ-কর্তৃপক্ষকে দু’দিনের মধ্যে ১০ কোটি টাকা জমা রাখতে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। তবেই ডিভিশন বেঞ্চ তাদের আপিল মামলার আবেদন বিবেচনা করবে। ডানলপের আপিল মামলায় বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত ও বিচারপতি তরুণ দাসের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এ কথা জানিয়েছে।
ডানলপ-কর্তৃপক্ষ ওই আপিল মামলা করেছেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের রায়ের বিরুদ্ধে। কী বলা হয়েছে ওই রায়ে? বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওই রায়ে ডানলপে লিকুইডেটর নিয়োগ করতে বলেছেন। লিকুইডেটর সংস্থার স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে পাওনাদার ও শ্রমিকদের বকেয়া মেটাবেন। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডানলপ-কর্তৃপক্ষ এ দিন আপিল মামলা করেন। মামলা না-মেটা পর্যন্ত তাঁরা ওই রায়ের উপরে স্থগিতাদেশ চান।
ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের রায়ের উপরে স্থগিতাদেশ না-দিলেও ডানলপ-কর্তৃপক্ষকে দু’দিন সময় দিয়েছে। তারা মৌখিক ভাবে জানিয়েছে, লিকুইডেটর এই দু’দিন কাজ শুরু করা থেকে বিরত থাকবেন। আর বুধবারের মধ্যে ডানলপ-কর্তৃপক্ষকে ১০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে হাইকোর্টে। তবেই স্থগিতাদেশের আবেদন বিবেচনা করবে ডিভিশন বেঞ্চ। ডানলপের আইনজীবী অতনু রায়চৌধুরী জানান, আদালতের কাছে জমা রাখা টাকার পরিমাণ কমিয়ে এক কোটি করার আর্জি জানানো হয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছে।
ডানলপের সম্পত্তি বিক্রির প্রসঙ্গে বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত মন্তব্য করেন, “বিক্রি করলে এক রুইয়া যাবে আর এক রুইয়া আসবে! ডানলপ-কর্তৃপক্ষ একই সংস্থার অন্য ব্যক্তির নামে সম্পত্তি দেখিয়ে বহু টাকা সরিয়ে ফেলেছেন।” বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রায়ে জানিয়েছিলেন, মামলা চলাকালীন বিভিন্ন তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ২৩০০ কোটি টাকা সরানো হয়েছে। অথচ শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা মাত্র ৭৭ কোটি টাকা।
এ দিন ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা চলার সময় বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত শ্রমিকদের আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, বকেয়া বেতন তো দীর্ঘদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল না। কারখানার জিনিসপত্রও পাচার হয়ে যাচ্ছে অনেক দিন ধরে। এত দিন তাঁরা কী করছিলেন? জবাব মেলেনি।
|