|
|
|
|
রাহুল আলোচনা চান রাজ্য ও জেলা নেতাদের সঙ্গেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কংগ্রেসের সহ-সভাপতি হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছিলেন গত বৃহস্পতিবার। ধারাবাহিক সেই বৈঠক আজ শেষ হল। সংগঠন মজবুত করতে এ বার রাজ্য ও জেলা স্তরে গিয়েও এমন বৈঠক করতে চান রাহুল গাঁধী নিজে।
দশ জনপথের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর অবশ্য অন্য রকম। ওই সূত্রের এক নেতা অবশ্য মনে করছেন, রাজ্য স্তরে এমন বৈঠক করতে চাইলে কেন্দ্রীয় নেতারাই হয়তো নানা অজুহাতে তা আটকাতে চাইবেন। কারণ, রাজ্যের নেতারা তাতে কেন্দ্রীর নেতাদের বিরুদ্ধে খোলাখুলি অভিযোগ জানানোর সুযোগ পাবেন রাহুলের সামনে। নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে অনিয়ম, স্বজনপোষণ-সহ কেন্দ্রের অনেক নেতার প্রকৃত ভূমিকা তাতে প্রকাশ হয়ে যেতে পারে। রাহুল খোলাখুলি মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়ায় দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেও ঠিক এমনটাই ঘটেছে।
গত পাঁচ দিনের ম্যারাথন বৈঠক হয়েছে। তাতে দলের অনেক নেতা নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। উঠে এসেছে দলের সিদ্ধান্তহীনতার ছবি। পারস্পরিক রেষারেষি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং দল আর সরকারের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের মতো প্রসঙ্গ। খোলাখুলি এই আলোচনায় বেশ উৎসাহিত রাহুল গাঁধী। আজ তিনি বৈঠকে বলেন, “রাজ্য ও জেলা স্তরেও এমন বৈঠক করলে সংগঠনের ভাল হতে পারে। সাংগঠনিক দুর্বলতা খুঁজে বার করা ও তা দূর করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে হাইকম্যান্ড।”
সংগঠনে রেষারেষি ও পরস্পরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকে ‘ক্যানসার’ আখ্যা দিয়ে রাহুল বলেন, “আবেগের সম্পর্কে বাঁধতে হবে দলকে, যেন তা একটি পরিবারে পরিণত হয়।” দল ও সরকারের মধ্যে সমন্বয় আনতে তাঁর দাওয়াই, কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের মন্ত্রীদের মাসে অন্তত এক দিন দলের দফতরে যেতে হবে। প্রয়াত ইন্দিরা গাঁধীর মতো দলের কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রস্তাবও বিবেচনার আশ্বাস দেন রাহুল। |
|
|
|
|
|