|
|
|
|
বিজেপি আবার নামছে দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
খোদ সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনে লাগাম টানতে বাধ্য হয়েছিল বিজেপি। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যত টুঁ শব্দটি করতে পারেনি তারা। কিন্তু নিতিন গডকড়ীর বিদায়ের পরে আর সে বালাই নেই। বিজেপি নেতৃত্ব ফের দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপাতে প্রস্তুত। আসন্ন বাজেট অধিবেশনের আগেই তাই পথে নেমে আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছেন দলের নতুন সভাপতি রাজনাথ সিংহ।
কংগ্রস ও তার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য তিনটি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন রাজনাথ। এক, সিএজি-র একটি রিপোর্টে ঋণ মকুবের প্রকল্পের সমালোচনা করা হয়েছে। রাজনাথের দাবি, “এটি একটি বড় দুর্নীতি। সিবিআইকে দিয়ে এর তদন্ত হওয়া উচিত।” দুই, খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি নিয়ে বিজেপি এমনিতেই সংসদে ফের বিরোধ জানাবে। বাম দলগুলিরও পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এতে। তা ছাড়া, রাজ্যসভায় এই সংক্রান্ত বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীটি এখনও পাশ হওয়া বাকি। এ সবের সঙ্গে ওয়ালমার্টের ঘুষ দেওয়ার প্রসঙ্গটিও জুড়ে নিতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তিন, আজই কমনওয়েলথ গেমসের দুর্নীতি নিয়ে সুরেশ কলমডীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। বিজেপি প্রশ্ন তুলবে, একই দোষে দুষ্ট দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে কেন আড়াল করছেন সনিয়া গাঁধী? গডকড়ীর বিদায়ের পর বিদ্রোহী নেতা যশবন্ত সিন্হা প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, “গডকড়ীর কারণে দলকে দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলন বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তিনি আগেই সরে গেলে এই বিড়ম্বনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যেত।” সংসদের গত অধিবেশনের সময় সনিয়ার জামাই রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপি আশঙ্কায় ছিল, প্রসঙ্গ তুললে তা ব্যুমেরাং হয়ে ফিরবে। অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে গডকড়ীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে। ফলে দুর্নীতির প্রশ্নে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পরিবারকে কোণঠাসা করার সুযোগ পেয়েও দলকে সে সময় নীরব থাকতে হয়েছিল। বিড়ম্বনা তাতে কমেনি। বরং সংসদে বিভিন্ন বিতর্কে গডকড়ী প্রসঙ্গ টেনে এনে বারবারই বিজেপি শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন কংগ্রেস নেতারা। রাজনাথ মনে করছেন, হাতে সময় কম হওয়ায় এমন সব কৌশল নিতে হবে, যাতে কংগ্রেস আরও দুর্বল হয়, শক্তি বাড়ে বিজেপির। উন্নয়ন ও হিন্দুত্ব তো আছেই দলের কর্মসূচিতে সামনে রাখতে হবে দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনকেও। কিন্তু এ সবের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি নিয়ে যে ভাবে আলোচনা চরমে উঠছে, তাতে দলের অন্য কৌশল দিগভ্রান্ত হচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনাথ। শরিক দলের সঙ্গেও সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ছে।
সে কারণে আজ আরও ফের দলের নেতাদের সতর্ক করে রাজনাথ বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী কে হবেন, তা সংসদীয় বোর্ড স্থির করবে। শেষ বারের জন্য আমি বলছি, মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি থেকে বিরত থাকুন নেতারা।” কিন্তু শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, “যশবন্ত সিন্হার মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি সঙ্গে আমি একমত। নির্বাচনের আগে এই পদ ঘোষণা করে দেওয়া উচিত।” |
|
|
|
|
|