পেল্লাই শিমুল গাছের সামনে দাঁড়িয়ে গেলে অর্জুন সরকার। কয়েকবার আলতো করে গাছটা ছুঁয়ে নিল বলল নাম। দূরে দাঁড়িয়ে ছিল সাবিনা বানু। এক মনে কী যেন শুনছিল। কিছুক্ষণ বাদে বলল ময়ূর ডাকছে। কে বলবে ওদের চোখে আলো নেই। প্রত্যেকেই দৃষ্টিহীন। গরুমারার কালিপুরে শিলিগুড়ির হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রকৃতিপাঠ শিবিরের ছেলেমেয়েদের দেখে কেউ তা বলছেন না। উল্টে ওদের উদ্দীপনা, প্রকৃতিতে জানার ও চেনার তীব্র ইচ্ছা দেখে অবাক বনকর্মীদের অনেকেই।
লাটাগুড়ি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ও বন বিভাগের সহযোগিতায় রবিবার থেকে ওই শিবির শুরু হয়েছে। শিবির চলবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগান ও প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শিবিরে ৪০ জন দৃষ্টিহীন ছেলেমেয়ে যোগ দিয়েছে।ওরা জঙ্গলের পাশে তাঁবুতে রাত কাটাবে। নদীতে স্নান করবে। স্পর্শ ও গন্ধ অনুভুতি দিয়ে প্রকৃতিকে জানবে। সেই সঙ্গে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার চেষ্টা করবে। এ দিন দুপুরে শিবিরের শুরু থেকে ওরা আত্মহারা। কখন জঙ্গলে যাে।ব সেজন্য কালিপুরে পৌঁছে উসখুস করতে থাকে অনেকে। নরম ঘাসে বসে কলতান শুনে পাখি চেনার চেষ্টা করে। কেউ দাঁড়িয়ে থাকে পুকুর পাড়ে পাতা ছুঁয়ে, গায়ে হাত বুলিয়ে চেনার চেষ্টা করে গাছ। হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের (ন্যাফ) উদ্যোগে দৃষ্টিহীনদের প্রকৃতি পাঠ শিবির এবার ১১ বছরে পা দিল। ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “স্বাভাবিক ছেলেমেয়েদের চেয়েও অনেক বেশি স্পর্শকাতর, অনুভূতিপ্রবণ ওরা। ছোট দলে ভাগ হয়ে জঙ্গলে ঘুরে গাছ, পাখি সম্পর্কে জানবে।” রায়ডাক-সঙ্কোশ উৎসব। পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের কুমারগ্রাম জোনাল কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত হল রায়ডাক-সঙ্কোশ উৎসব। রবিবার কুমারগ্রামের পূর্ব শালবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উৎসবের আয়োজন করা হয়। |