দু’টোই এসএসসি। দু’টোতেই বিভ্রাট। রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পরে এ বার কেন্দ্রীয় স্টাফ সিলেকশন কমিশন নিয়ন্ত্রিত নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বিভ্রাট। এবং শেষ পর্যন্ত এটিতেও পরীক্ষা বাতিল।
ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা খাদ্য নিগমে তৃতীয় গ্রেডের কর্মী নিয়োগের জন্য রবিবার পরীক্ষা নিচ্ছিল স্টাফ সিলেকশন কমিশন। কিন্তু শুরুতেই প্রশ্ন-বিভ্রাটের ফলে কলকাতার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। জুলাইয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় প্রার্থীর তুলনায় প্রশ্নপত্র কম পড়ে যাওয়ায় বহু কেন্দ্রে গোলমাল হয়েছিল।
আর এ দিন দ্বিতীয়ার্ধের প্রশ্নপত্র বিলি হয়ে যায় প্রথমার্ধে। কলকাতায় পরীক্ষা বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয় কিছু ক্ষণের মধ্যেই। তবে শুধু কলকাতা নয়, প্রশ্ন-বিভ্রাট ঘটেছে পূর্ব ভারতের অন্যান্য কেন্দ্রেও। গুয়াহাটি কেন্দ্রেও পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়। রাত পর্যন্ত অন্যান্য কেন্দ্রের শেষতম পরিস্থিতি জানা যায়নি। বাতিল পরীক্ষা কবে হবে, জানানো হয়নি তা-ও।
প্রশ্নে কী ধরনের বিভ্রাট ঘটেছে?
প্রার্থীরা জানান, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য নভেম্বরেই প্রথম পত্রের পরীক্ষা হয়ে গিয়েছিল। এ দিন ছিল দ্বিতীয় ও তৃতীয় পত্রের পরীক্ষা। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল এবং এটি বাধ্যতামূলক। এই পত্রটি ইংরেজি ও অঙ্ক মিলিয়ে ২০০ নম্বরের। আর তৃতীয় পত্রের বিষয় জীবনবিজ্ঞান এবং সেটি প্রযুক্তিগত পরীক্ষা। সেটি হওয়ার কথা ছিল এ দিন বেলা দেড়টা থেকে। কিন্তু সকালে কলকাতার বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গিয়ে প্রার্থীরা দেখেন, অঙ্কের বদলে জীবনবিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে। বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। তার কিছু পরেই স্টাফ সিলেকশন কমিশনের কলকাতার অফিস থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে ফোন করে অবিলম্বে পরীক্ষা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এক প্রার্থী জানান, তাঁর
আসন পড়েছিল উত্তর কলকাতার মহারাজা কাশিমবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। সাড়ে ৯টার মধ্যে উত্তরপত্র দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ১০টা বেজে গেলেও প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়নি। তিনি জানান, প্রশ্নপত্র দিতে দেরির কারণ জানতে চাইলে ওই পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, সামান্য সমস্যার জন্যই দেরি হচ্ছে।
প্রায় ৪৫ মিনিট পরে ওই ইনস্টিটিউট জানিয়ে দেয়, দিল্লি থেকে ভুল করে দ্বিতীয় পত্রের জায়গায় তৃতীয় পত্রের প্রশ্ন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র বাছাই করে আলাদা আলাদা প্যাকেটে ভরার সময়েই গোলমাল হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে দূরদূরান্ত থেকে আসা ক্ষুব্ধ ও বিভ্রান্ত প্রার্থীরা নিজাম প্যালেসে স্টাফ সিলেকশন কমিশনের অফিসে এবং তাদের দেওয়া টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করেন। কিন্তু অফিসের নম্বরে কেউ ফোন ধরেননি। দু’টি টোল-ফ্রি নম্বরও সারা দিন বন্ধ ছিল। |