টুকরো খবর
ব্যাজ পরে তৃণমূলের মঞ্চে হাসপাতালের সুপার, বিতর্ক

বক্তৃতা করছেন মুকুল রায়।

সুপার। রবিবার বসিরহাটে।
ছবি : নির্মল বসু।
বসিরহাট স্টেডিয়ামে রবিবার তৃণমূলের ‘জেলা পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলন’-এর মঞ্চে ব্যাজ পরে বসে থাকতে দেখা গেল মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডলকে। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অসিত মজুমদার বলেন, “সরকারি কাজ ছেড়ে যে ভাবে সুপার তৃণমূলের ব্যাজ পরে মঞ্চে বসে ছিলেন তাতে তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত। আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।” সিপিএম নেতা নিরঞ্জন সাহাও একই সুরে বলেন, “সরকারের কিছু লোক দালালি শুরু করেছেন। সুপার যে ভাবে হাসপাতাল ছেড়ে মঞ্চে বসে রইলেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।” সুপার অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে রাজি হননি। তিনি বলেন, “প্রচুর লোক সমাগম হয়েছিল। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে যাতে সাহায্য করতে পারি, সেই কারণেই আমাকে ডাকা হয়েছিল।” তৃণমূলের রাজ্য পঞ্চায়েত সেলের আহ্বায়ক নারায়ণ গোস্বামীর দাবি, “মঞ্চে এক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ায় কিছু ক্ষণের জন্য সুপারকে ডাকা হয়েছিল। এর মধ্যে কোনও অন্যায় নেই।” তবে, সুপারকে কেন তৃণমূলের ব্যাজ পরানো হল, সে ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে চাননি।

গ্রেফতার দুই নারী পাচারকারী
নারী পাচার চক্রের দুই পান্ডাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট সীমান্তবর্তী নাকুয়াদহ গ্রামে। ধৃত ২ জনের নাম মণিরুল সর্দার ও সত্যপ্রকাশ অরোরা বলে জানিয়েছে পুলিশ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মণিরুল সর্দারের বাড়ি স্থানীয় এলাকাতে। তবে সত্যপ্রকাশ অরোরার বাড়ি গুজরাতের আহমেদাবাদে। দিন পনেরো আগে বাংলাদেশ থেকে ৭ জন মহিলাকে পাচারের উদ্দেশ্যে হাওড়া থেকে গুজরাতগামী ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়েছিল। ট্রেনে ওঠার পর প্রকৃত ঘটনা বুঝতে পেরে এক মহিলা হাওড়ার কাছে রামরাজাতলা স্টেশনের সামনে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন। রেল পুলিশ ওই মহিলাকে উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ওই মহিলাকে জেরা করেই মণিরুলের ঠিকানা জানতে পারে পুলিশ। এরপর মণিরুলকে জেরা করে মেলে সত্যপ্রকাশের খোঁজ। এসডিপিও অভিজীত্‌ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রথমে মণিরুলকে ধরা হয়। তারপর মণিরুলের মাধ্যমে সত্যপ্রকাশকে বসিরহাটে আনা হয়। তারপর দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”

বন্ধের দাবি তুলে পানশালায় আগুন
জনরোষ। ছবি: শান্তনু হালদার
এক সপ্তাহ আগে চালু হওয়া এলাকার একটি পানশালা বন্ধের দাবি তুলছিলেন অশোকনগরের জনকল্যাণ পল্লির বাসিন্দারা। একই দাবিতে আন্দোলনে নামে তৃণমূলও। রবিবার সকালে পুরসভার ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে, হাবরা-নৈহাটি সড়কের ধারে ওই পানশালাটিতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলেন কয়েকশো মহিলা-পুরুষ। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এলেও জনতা দমকলকে প্রথমে আগুন নেভাতে দেয়নি। ঘণ্টা খানেক পরে পুলিশ গিয়ে পানশালা বন্ধের দাবির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানালে বিক্ষোভ থামে। দমকল আগুন নেভায়। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “গোটা ঘটনাটি নিয়ে ওসি এবং এসডিপিওকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।”অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের সমীর দত্ত বলেন, “ওই এলাকায় বহু স্কুলপড়ুয়া রয়েছে। বাজারও রয়েছে। সেই কারণে আমরা পানশালার বিরুদ্ধে। পুরসভার কাছ থেকে পানশালাটি ট্রেড লাইসেন্সও নেয়নি।” পানশালা কর্তৃপক্ষকে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। কিছু দিন আগেও ওই এলাকায় একটি মদের দোকানে মানুষ আগুন ধরিয়ে দেন। সড়কও অবরোধ করা হয়।

ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার গোসাবায়
ফের ধর্ষণের অভিযোগ। এ বার গোসাবায়। নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার রাতে গোসাবার বালি-১ পঞ্চায়েতের সত্যনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা বিজন মণ্ডলকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার থানায় দায়ের করা অভিযোগে ওই নাবালিকার বাবা জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বর মাসে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঢুকে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে বিজন। থানায় অভিযোগ না জানানোর জন্য এত দিন তাঁকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া এবং ভয় দেখানো হচ্ছিল। রবিবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

বাগদায় কৃষিমেলা
শীত যাই যাই করছে। তবু আমুদে বাঙালির তাতে কী? সম্প্রতি কৃষিমেলা হয়ে গেল বাগদার নতুন বাজার এলাকায়। ব্লক কৃষি দফতরের উদ্যোগে ৩০ জানুয়ারি এক দিনের ওই মেলার উদ্বোধন করেন বনগাঁর মহকুমাশাসক অভিজিত্‌ ভট্টাচার্য। ছিল আলোচনাচক্র , প্রশিক্ষণ শিবির, কৃষি সরঞ্জাম ও পণ্যের প্রদর্শনী। উপস্থিত ছিলেন বাগদার বিডিও খোকনচন্দ্র বালা। মানুষের উপস্থিতি ছিল বেশ ভাল।

ধর্ষণের নালিশ
বারুইপুরের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম অনিল হাজরা ও রবিন হাজরা। বারুইপুরের বেগমপুর এলাকার বাসিন্দা এক গৃহবধূ অভিযোগ করেছেন, শনিবার সন্ধ্যায় অনিল ও রবিন তাঁকে বাড়ির পাশের ধানখেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। অনিল সম্পর্কে অভিযোগকারিণীর মামাশ্বশুর এবং রবিন তাঁর ভাশুর।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.