|
|
|
|
খুনের অভিযোগে দুই যুবককে গণপিটুনি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
এক রিকশাচালককে খুনের অভিযোগে দুই যুবককে গণপিটুনির ঘটনায় রবিবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির কারবালা মোড়ে। শেষমেশ পুলিশ গিয়ে প্রহৃতদের উদ্ধার করে গুরুতর জখম অবস্থায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করায়। জনতা দুই যুবকের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। তাদের শাস্তির দাবিতে কারবালা মোড়ে কিছু ক্ষণ অবরোধও হয়। জেরায় দু’জনে খুনের কথা কবুল করেছে বলে পুলিশের দাবি।
এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ কারবালা ঝিলপাড়ের বাসিন্দা রাজা মণ্ডল (২২) নামে ওই রিকশাচালকের রক্তাক্ত দেহ কানাগড়ের আমবাগান থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। তাঁর পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন। পুলিশের অনুমান, ভারী কিছু দিয়ে থেঁতলে মারা হয় রাজাকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ রাজা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। দেহটি উদ্ধারের পরেই চাউর হয়ে যায়, শনিবার সন্ধ্যায় রাজার রিকশায় কারবালা এলাকার অনিরুদ্ধ শীল ওরফে রনি এবং নন্দন চট্টোপাধ্যায় ওরফে ছোটকা নামে দুই যুবক মদ্যপ অবস্থায় ঘুরছিল। এর পরেই জনতা সন্দেহের বশে ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তারা পালানোর চেষ্টা করলে শুরু হয় গণপ্রহার। নিহতের বৌদি সুজাতা মণ্ডল থানায় রনি ও ছোটকার বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রাজা অন্যের রিকশা চালাতেন। ঘটনার পর থেকে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত রিকশাটির খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তথাগত বসু বলেন, “ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশি পাহারায় তাদের এখন চিকিত্সা চলছে। সুস্থ হলে গ্রেফতার করা হবে। জেরায় ওরা খুনের কথা কবুল করেছে।” এ দিন সুজাতাদেবী বলেন, “রাজা আগের রাতে না ফেরায় ভেবেছিলাম সকালে থানায় জানাব। কিন্তু তা আর হল না। থানায় গিয়ে ওঁর মৃতদেহ দেখলাম। মনে হয়, কোনও জায়গায় যেতে অস্বীকার করাতেই ওরা রাজাকে খুন করে রিকশাটা লোপাট করে দিয়েছে।” |
|
|
|
|
|