|
|
|
|
বারাসতে শ্লীলতাহানি |
|
দোষীদের ধরার দাবি,
সরব সেই তৃণমূল নেতাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
মদ্যপ যুবকেরা এক কিশোরীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিল। বাধা দিতে গেলে তার বাড়ির লোক জনকে মারধরও করে তারা। শুক্রবার বারাসতের সোনাটিকারির ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের হয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আবুল কাশেম দাবি করেছিলেন, অভিযোগের ‘বেশির ভাগই সাজানো’। কাশেম অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ ওঠার পরে রবিবার ওই তৃণমূল নেতা সুর বদলালেন। বললেন, “দ্রুত গ্রেফতার করা হোক সমাজবিরোধীদের।” ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তেরা আবুল কাশেমের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত। এ দিন কাশেম বলেন, “প্রথম দিন ভুল বুঝেছিলাম। ভুল বিবৃতিও দিই। পরে বুঝতে পেরেছি, সমাজবিরোধীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তাদের সবাইকে গ্রেফতার করার দাবিতে আমরাও আন্দোলন চালাব।” তাঁর সংযোজন, “পুলিশ যেন প্রকৃত অপরাধীদেরই ধরে। সাধারণ মানুষকে যেন হেনস্থা না করা হয়।”
শুক্রবার দুপুরে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে ফিরছিল। বাড়ির কাছেই পথ আটকায় মদ্যপ দুই যুবক। অভিযোগ, মেয়েটির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে তারা। ওই ছাত্রী মোবাইলে খবর দেওয়ায় বাড়ি থেকে তার বাবা, জ্যাঠা, জ্যাঠতুতো দাদারা এসে পড়েন। তত ক্ষণে মদ্যপ যুবকদের আরও চার সঙ্গী জুটে গিয়েছে। সকলে মিলে মেয়েটির বাড়ির লোক জনকে মারধর করে। শ্লীলতাহানি-মারধরের অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য ওই কিশোরীর পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই রটেছে বিভিন্ন মহলে। সে কথা অস্বীকার করে এ দিন মেয়েটির দাদা বলেন, “আমাদের কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। বরং ঘটনার পরে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সহযোগিতাই করছেন। পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকাতেও আমরা সন্তুষ্ট।”
অন্য একটি ঘটনায়, রবিবার বারাসতেরই বামনগাছিতে দুই মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। জমিজমা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই ঘটনার সূত্রপাত। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকায় বিদ্যুদয়নের জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কিছু জমি দরকার। তা নিয়ে প্রতিবেশী দুই পরিবারের মধ্যে কিছু দিন ধরে ঝামেলা চলছিল। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় এর আগে ১৪৪ ধারাও জারি করতে হয়েছে। এ দিন এক পরিবারের লোক জন অন্য পরিবারের সদস্যদের উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ‘আক্রান্ত’ পরিবারের দাবি, তাঁদের এক আত্মীয়ার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। মারধরও হয়েছে। অন্য পরিবারটি তরফেও শ্লীলতাহানি ও মারধরের পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়। |
|
|
|
|
|