আনন্দক্রীড়ায় নতুন নজির। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন কৌশিক পালকে হারিয়ে এ বার সেরার সেরা পুরস্কার জিতে নিলেন ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের (সল্টলেক) আবির কর্মকার। পুরুষদের ১০০, ২০০ এবং রিলে দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারেই বাজিমাত করলেন আবির।
আবিরকে বাদ দিলে, ৫২তম আনন্দক্রীড়ায় পুরনোদেরই জয়জয়কার। রবিবার তালতলা মাঠে প্রতিবারের মতোই সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত এবিপি-র কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের প্রায় এক হাজার প্রতিযোগী ২১টি ইভেন্টে যোগ দিলেন। আশিস সরকার, সুব্রত বসু, নীপা সেনগুপ্ত এবং রমা মজুমদার অতীতের মতো এ বারও সেরা হয়েছেন নিজেদের বিভাগে। সকালে অনূর্ধ্ব-৭ ছোটদের ইভেন্ট দিয়ে শুরু হয়েছিল প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যায় তা শেষ হল ছোটদেরই আকর্ষণীয় ফ্যান্সি ড্রেস ইভেন্ট দিয়ে। সেখানে ‘সুন্দরী’ প্রজাপতি মোহর হাজরাকে হারিয়ে দিল রানার সেজে আসা কল্লোল কুণ্ডু। তবে প্রতিবারের মতোই সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগী যোগ দিলেন মেয়েদের মিউজিক্যাল চেয়ার, গুলি-চামচ দৌড় এবং ছেলেদের বাস্কেটবল থ্রো ইভেন্টে। |
টানা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে কৌশিক পালের রেকর্ড ভেঙে গেলেও, ৫০ বছর বয়সের বেশি বয়সিদের হাঁটাতে টানা বারো বার জিতলেন বিজ্ঞাপন বিভাগের আশিস সরকার। একই ভাবে আনন্দবাজারের সাংবাদিক সুব্রত বসু ৪০ বছর বয়সের বেশি বিভাগে (১০০ মিটার) টানা পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হলেন। মেয়েদের ৭৫ মিটারে অবশ্য চার বারের চ্যাম্পিয়ন উনিশ কুড়ির পিয়ালি বালাকে হারিয়ে দিলেন বিম্বিতা দাশগুপ্ত। মেয়েদের মিউজিক্যাল চেয়ারে ফের সেরা হলেন সার্কুলেশনের রূপা চট্টোপাধ্যায়। পুরুষদের টাগ অফ ওয়ারে চ্যাম্পিয়ন হল মাকের্টিং। দ্বিতীয় ম্যানুফ্যাকচারিং (বারাসত) এবং তৃতীয় এডিটোরিয়াল। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সফলদের হাতে পুরস্কার তুলে আনন্দবাজারের প্রাক্তন ম্যানেজার পার্থসারথি সেনগুপ্ত বললেন, “নতুন প্রজন্মকে দেখলাম। পুরনোদের সঙ্গেও দেখা হল। আনন্দক্রীড়ার ঐতিহ্য দেখে ভাল লাগল।” |