আইপিএল নিলাম ব্যাপারটা হল অনেকটা বাঙালির পুজোর বাজার করার মতো। এক ঝাঁক ক্রেতা এক সঙ্গে প্রচুর কেনাকাটা করতে গিয়ে অনেকে ভাল জিনিস ঠিকঠাক দামেই পেলেন। আবার কেউ ভাল দাম দিলেন বটে। কিন্তু তাড়াহুড়োতে ভাল জিনিসটা বেছে নিতে পারলেন না। কয়েক জন ক্রিকেটার যা পাচ্ছে, তা দেখে ভিরমি খাওয়ার উপক্রম। অথচ কয়েক জন ভাল খেলোয়াড় ঠিকঠাক দামই পেল না। তবে এ তো প্রতি বছরেরই কিস্সা।
কেকেআরের কথা দিয়েই শুরু করি। গতবারের চ্যাম্পিয়ন টিম ওরা। কম্বিনেশনটা ভাঙার দরকারই নেই। সুনীল নারিনকে এ বার হয়তো পুরো আইপিএলে পাওয়া যাবে না। ওর ব্যাক আপ হিসেবে যদি কাউকে আনতেই হত, তা হলে অজন্তা মেন্ডিসকে নিতে পারত ওরা। সচিত্র সেনানায়েকে কেন? বুঝলাম না। সে না কি ভাল দুসরা করতে পারে। তা হলে শ্রীলঙ্কা দলে সুযোগ পায় না কেন?
মেন্ডিসের জন্য কেকেআর ‘বিড’ করেও শেষ পর্যন্ত সরে আসে। আমার মতে, মেন্ডিসের জন্যই পুরোপুরি ঝাঁপানো উচিত ছিল। তাতে যদি দু’জন বিদেশি প্লেয়ার না নিয়ে এক জনকে নিতে হত, তা হলেও ঠিক ছিল। কিন্তু সচিত্রর চেয়ে মেন্ডিস যে কোনও দিন ভাল বোলার হত।
ভাল কেনাকাটা যদি কেউ করে থাকে, তারা হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে জন রাইট, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকরের কম্বিনেশন। এর চেয়ে ভাল থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আর কী হতে পারে? সেটাই বুঝিয়ে দিল অম্বানীদের ফ্র্যাঞ্চাইজি। দশ লাখ ডলার দিয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নেওয়াটা যেমন ভাল সিদ্ধান্ত, তেমন রিকি পন্টিং, ফিলিপ হিউজ, জেকব ওরামও মোটেই খারাপ বাছাই নয়। শুনছি সচিন দলটাকে নেতৃত্ব দেবে। আমার তো মনে হয়, পন্টিং ওর চেয়েও ভাল ক্যাপ্টেন হয়ে উঠতে পারে। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের গত বার স্পিন বিভাগ দুর্বল ছিল। তাই জীবন মেন্ডিসকে নিয়ে সেই খামতিটা পূরণ করতে চাইছে। ভাবনাটা মন্দ নয়। কেভিন পিটারসেনকে হয়তো ওরা শুরুর দিকটা পাবে না। সে দিক থেকে জোহান বোথা, জেসি রাইডাররা ভাল পছন্দ। তবে হায়দরাবাদ কেন সে রকম ঝাঁপাল না, সেটাই অবাক করার মতো ব্যাপার। |