|
|
|
|
বিস্ফোরণ থেকে রক্ষা গরিবরথের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধুবুরি |
কোকরাঝাড়ের রেল লাইনে বিস্ফোরণে অল্পের জন্য রক্ষা পেল হাওড়াগামী গরিবরথ এক্সপ্রেস। শনিবার গভীর রাতে চৌতারা এবং গোসাইগাঁও হাট রেল স্টেশনের মাঝের এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বিস্ফোরণের মাত্র কয়েক মিনিট আগেই সেখান দিয়ে চলে যায় গরিবরথ এক্সপ্রেস। রেল পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে এলাকার প্রায় ২ মিটার রেল লাইন উড়ে গিয়েছে। গরিবরথ এক্সপ্রেসকে লক্ষ্য করেই বোমাটি ফাটানো হয়। তবে সময়ের ভুলের জন্য তা পরে ফেটেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, বোমাটি শক্তিশালী ‘আইইডি’ ছিল। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০ মিটার তার উদ্ধার হয়েছে। তবে কোনও জঙ্গি সংগঠন বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, গুয়াহাটি থেকে হাওড়াগামী ১২৫১৮ ডাউন গরিবরথ এক্সপ্রেস প্রায় ৩১ মিনিট দেরিতে ছাড়ে। চৌতারা স্টেশন ছাড়ার পরে ট্রেনটি গুয়াবাড়ি গ্রাম পার হয়ে যাওয়ার পরেই তীব্র শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এলাকাবাসী ছুটে আসেন। বিস্ফোরণের জেরে লাইনে আগুন দেখে গার্ড ট্রেনটি থামিয়ে দেন।
গোসাইগাঁও হাটের ষ্টেশনমাস্টার শিবশঙ্কর সাহা বলেন, “ওই ট্রেনটির পর গুয়াহাটি-আলিপুরদুয়ার ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসেরও ওই লাইন দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বিস্ফোরণের পর ওই এলাকা দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।” কোকরাঝাড় জেলার পুলিশ সুপার সুশীল কুমার, এএসপি সুরজিৎ সিং পানেশ্বরের রাতেই ঘটনাস্থলে যান। রাত ২টো নাগাদ লাইন মেরামতির কাজ শুরু হয়। রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ ওই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
বিস্ফোরণের পিছনে কোন জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে তা এখনও পুলিশের কাছে পরিষ্কার নয়। জেলা পুলিশ সুপার সুশীল কুমার বলেন, “ওই ট্রেনটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। সন্দেহভাজন জঙ্গিরা দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করেছিল বোমাটিকে। কেএলও, আলোচনা বিরোধী এনডিএফবি,এবং আদিবাসী জঙ্গি সংগঠন-সহ কয়েকটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। সেনা বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। রেললাইনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|